Dhanteras-র দিনই কেন সোনা-রুপোর গহনা থেকে শুরু করে নতুন বাসন-কাসন কেনা হয়? জানুন সেই রহস্য

ধনতেরসে শুরু ভাইফোটার শেষ। তারমাঝেই পড়ে দীপাবলি। পাঁচ দিনের এই উৎসবটি আবার পঞ্চ মহোৎসব নামেও পরিচিত। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী ধনতেরসে বাসন, সোনা-রুপোর গহনা কেনা হয়। শাস্ত্র মতে ধনতেরসে যা কেনা হয় তা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ধনতেরসে কেন বাসন কেনার প্রথা রয়েছে তা কি জানেন?

কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরস বা ধন ত্রয়োদশী পালিত হয়। শাস্ত্র মতে এদিনই সাগর মন্থন থেকে ধন্বন্তরি প্রকট হন। ধন্বন্তরির প্রকট হওয়ার দুদিন পর লক্ষ্মীর আবির্ভাব হয়। ধন্বন্তরি যখন প্রকট হয়েছিলেন তখন তাঁর হাতে কলস ছিল। এ কারণে ধনতেরসে বাসন কেনার প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া অন্য এক কাহিনি অনুযায়ী রাজা হিমের পুত্রের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে বিবাহের ৪ দিন পর তাঁর মৃত্যু হবে। বিবাহের চতুর্থ দিন সাপের রূপ ধারণ করে রাজা হিমের পুত্রকে নিতে আসেন যমরাজ। তখনই নববধূ সাহস করে কক্ষের চারদিকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে দেন এবং নিজের সমস্ত অলংকার ও বাসন কক্ষের দরজার সামনে রেখে দেন। সোনা-রুপোর আলোর ছটায় যম রূপী সর্পের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। তার পর রাজার পুত্রকে না-নিয়েই সেখান থেকে ফিরে যান যম। মনে করা হয় সে সময় থেকেই ধনতেরসে বাসন ও গহনা কেনার প্রথা প্রচলিত হয়েছে।

পাশাপাশি ধনতেরসের দিনে সোনা, রুপো, তামা, পিতল কেনা অত্যন্ত শুভ। এই তিথিতে এই শুদ্ধ ধাতু কিনলে কুবের ও লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এছাড়াও ধনতেরসের দিনে ঝাঁটা কিনতে পারেন। ঝাঁটাকে লক্ষ্মীর প্রতীক মনে করা হয়। নতুন ঝাঁটা কিনে তা দিয়ে ঘর ঝাট দিলে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পা ও বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করে।