কালীপুজোতে মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা, শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

আবহওয়া দফতরের তরফে ঝড়ের বিষয়ে তেমনভাবে কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত না মিললেও, ইতিমধ্যে মহা বিপদের আশংকায় প্রমাদ গুনছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ ফনি, আম্ফান ও যশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগেভাগে প্রস্তুতি নিল নবান্ন। আজ শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্নে সব দফতরের সচিবদের সঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী । এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানত রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররাও । এই সংকট মোকাবিলায় প্রশাসনের কী করণীয়, তা সেখানে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। বৈঠকে এই মহাপ্রলয় আটকাতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি ১৫টি এনডিআরএফ দল ও ২০টি এসডিআরএফ দল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন । তবে আজ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এখন যাঁরা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের আগামিকালের মধ্যেই ফেরত আসার কথা বলা হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, কালীপুজো এবং দীপাবলির মধ্যে এই ঝড় হওয়ার পূর্বাভাস থাকায় এই বৈঠকে আরও বেশি উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে । কাজেই এই ঝড় মোকাবিলায় আগেভাগেই স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেছে রাজ্য । ঝড়ের আগে বিপদ সংকুল এলাকায় থাকা মানুষকে যাতে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য স্কুল ঘর ও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা জায়গাগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসকের শুকনো খাবার, ত্রিপল মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে । সিত্রাংয়ের প্রভাবে আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । আর এই বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন । একইসঙ্গে অমাবস্যার কারণে ঘাটগুলিতে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কালী পুজোর বিসর্জনের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নবান্নের ।