কালীপুজোয় ঘূর্ণিঝড়কে নিয়ে কোন আপোষ নয়! এই কয়েকটি জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করল নবান্ন

চলতি মাসে কালীপুজোর সময় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়, এমনই পূর্বাভাস আগে দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর । এবার আবহাওয়ার মতি-গতিকে মাথায় রেখে বিশেষ পদক্ষেপ করল রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্ন । ইতিমধ্যে কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো যাতে কোনওভাবেই দুর্বল না হয় সেজন্য দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশ। সাইক্লোন কতটা শক্তিশালী হবে সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। কিন্তু, ঝড় বা দুর্যোগ যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই পুজোর সময় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেই জন্যই সচেতন নবান্ন। কালী পুজোর প্যান্ডেলগুলি মজবুত রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে প্রয়োজনে জেলাশাসকদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসকদের সাইক্লোনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে নবান্নের তরফে, জানা গিয়েছে এমনটাই। এই তিন জেলায় সাইক্লোনের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর সহ অন্যান্য জেলাগুলিকেও সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।

উল্লেখ্য, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ২২ তারিখ সকাল নাগাদ তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে ওই সিস্টেম সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। এদিকে রাজ্যজুড়ে কালী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেল বাঁধার কাজ প্রায় শেষের মুখে। প্রসঙ্গত, কানাডার আবহাওয়াবিদ জানিয়েছিলেন যদি সুপার সাইক্লোন তৈরি হয় সেক্ষেত্রে তার ‘ল্যান্ডফল’-এর সময় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যদিও এই ঝড়ের গতিবেগ নিয়ে এখনও আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু, কালীপুজো এবং ভাইফোঁটাতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।