বহু বছর পর আসছে এমন দীপাবলি, যারফলে ছোট-খাটো ব্যবসায়ীরাও সোনায় সোহাগা হবেন!

চলতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অমাবস্যা তিথি পড়ছে সোমবার, ২৪ অক্টোবর। এদিন সন্ধ্যা ৫টা ২৭ মিনিটে অমাবস্যা শুরু হবে এবং পরের দিন ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৪টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এদিকে হস্ত নক্ষত্র দুপুর ২টো ৪১ মিনিট থেকে শুরু হবে। এর পর দীপাবলীর পুজোর সময় চিত্রা নক্ষত্র থাকবে। হস্ত ও চিত্রা নক্ষত্রে আবার বৈধৃতি যোগের শুভ সংযোগও থাকবে। যারফলে দুই নক্ষত্র ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নতুন শক্তি প্রদান করবে। স্পট ভাষায় বলতে গেলে জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বহু বছর পর এমন শুভ সংযোগে দীপাবলী পালিত হতে চলেছে।

২৪ অক্টোবর সোমবার কালীপুজোর দিন সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত বৃশ্চিক ও তার পর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ধনু লগ্ন থাকবে। বৃশ্চিক লগ্নে দেবগুরু বৃহস্পতির নবম দৃষ্টি ও ধনুর ওপর মঙ্গলের পূর্ণ দৃষ্টি থাকবে। বৃশ্চিক লগ্নে অটো মোবাইল ওয়ার্কশপ, তামা, পিতল, কাঁসা এবং স্টিলের ব্যবসায়ীরা মহালক্ষ্মীর পুজো করলে বিশেষ ফল লাভ করবেন। কিছু কিছু ব্যবসায়ী দীপাবলী পুজোর জন্য ধনু লগ্নকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন। কারণ শুভ গ্রহ বৃহস্পতি এই লগ্নের অধিপতি।

দুপুর ১২টা ৪৩ মিনিট থেকে ২টো ২৬ মিনিট পর্যন্ত মকর লগ্ন থাকবে। মকর লগ্নেই অভিজীত মুহূর্ত থাকবে। মকর লগ্নের স্বগৃহী শনি ও তৃতীয় স্বগৃহী দেবগুরু বৃহস্পতি বিরাজমান থাকলে লগ্ন অত্যন্ত শক্তিশালী বোঝা যায়। চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট, আইনজীবী, প্রপার্টি ডিলারদের অসাধারণ লাভ প্রদান করবে।

আবার দুপুর ৩টে ৫০ মিনিট পর্যন্ত কুম্ভ ও ৪টে ৫৮ মিনিট পর্যন্ত মীন লগ্ন থাকবে। মীন লগ্নের অধিপতি বৃহস্পতি স্বগৃহে অবস্থান করে তৎক্ষণাৎ শিল্প ও ব্যবসায় চারগুণ উন্নতি করাবে। এই লগ্নে পুজো করলে পুরোহিত ও যিনি পুজো করছেন তাঁরা অর্থ লাভ করতে পারেন। মীন লগ্নে ব্যবসায়ী, ফাইন্যান্সর ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের পুজো করা উচিত।

সন্ধ্যাবেলা ৪টে ৫৮ মিনিট থেকে ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মেষ লগ্ন থাকবে। এ সময় পুজো করলে ব্যবসায়ীদের মনস্কামনা পূরণ হবার সম্ভবনা রয়েছে ।

অন্য দিকে অর্ধরাত্রি লগ্ন সিংহ ১টা ২৭ মিনিট থেকে ৩টে ২৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই লগ্নে পুজো করলেও বিপুল লাভ সম্ভব। এই লগ্নেও লক্ষ্মীর স্থির প্রীতি লাভ করা যায়।

তবে, উপরিউক্ত সময়গুলির মধ্যে নিজের সুবিধামতো যে কোনও মুহূর্তে কালী পুজো করা যেতে পারে। পুজো করা সম্ভব না-হলে ঠাকুরঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিজ্ঞা ও সংকল্প করা উচিত।