১৮৬ থেকে ১৯১ পাতা, লুকিয়ে আছে নেতাজির মৃত্যু রহস্য! জানুন, কি লেখা রয়েছে সেই বইয়ের পাতায়

156

বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি, জীবিত ছিলেন দেশ স্বাধীনের সময়েও। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে প্রতিবার যে বিতর্কটা বড় বেশী করে ওঠে এবারও তার অন্যথা হল না। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি ও আজাদহিন্দ ফৌজ কি ভূমিকা ছিল সেই নিয়ে প্রতিরক্ষা দপ্তরের ইতিহাস বিভাগে একটি বই তৈরি হয়, তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত ঐতিহাসিকবিদ প্রতুল গুপ্ত। সেই বইয়ের ১৮৬ থেকে ১৯১ পাতায় বলা হয়েছে, সম্ভবত বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি, অন্য কোথাও চলে গিয়েছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে জুলাই চন্দ্রচূড় ঘোষ, তিনি রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে (তথ্যের স্বাধীনতা অধিকার বিষয়ক আইন) আবেদন করেন, এক নয় সরকার সেই বইটি আমার হাতে তুলে দেওয়া হোক, নয়ত সেই বইটি জনসমক্ষে নিয়ে আসা হোক। আবেদনের পরে চিফ ইনফরমেশন কমিশনার আবেদনকারীর বক্তব্য শুনে ৩০ সেপ্টেম্বর একটি সিধান্তে উপনীত হয়ে মনমোহন সিং সরকারকে জানালেন এক নয় সরকার সেই বইটি চন্দ্রচূড় ঘোষের হাতে তুলে দেওয়া হোক, নয়ত বইটি জনসমক্ষে আনা হোক।

এরপর ২০১০সালে ইউপিএ’২ সরকারের পক্ষ থেকে বলা এপিঠ-ওপিঠ দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে সিঙ্গেল বেঞ্চে তারা জানালো, আমরা খুব তাড়াতাড়ি সংশোধন করে সেই বইটি বের করব। তবে হাইকোর্ট রাজি হল না। হাইকোর্ট জানালো, বইটি সংশোধন না করে, অবিকৃত রেখে ৪ মাসের মধ্যে প্রকাশ্যে আনতে হবে। নইলে চন্দ্রচূড় ঘোষকে সেই কপি দিতে হবে। তারপর ইউপিএ’২ সরকার সিঙ্গেল বেঞ্চের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে আবেদন করে, কিন্তু সেই আবেদন আজও বিচারাধীন আছে, আজ তৃনমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় । তিনি আরও জানান, আমি এবিষয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম, জানিয়েছিলেন, আপনারা যখন নেতাজি ও আজাদহিন্দ ফৌজ সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল বার করবেন, তাহলে প্রতিরক্ষা দপ্তরের ইতিহাস বিভাগের এই বইটি কেন আপনারা প্রকাশ্যে আনছেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গত ৪ বছরে সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।