আজ রথযাত্রা। তবে একটা কথা ভেবে দেখেছেন কখনও রথ টানতে না পারলেও রশি স্পর্শ করার জন্য কেন ব্যাকুল হয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। পুরাণ বলছে, রথের রশির নাম বাসুকি। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জগন্নাথদেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের কষ্ট সহ্য করতে হয় না। এও কথিত আছে, শ্রীচৈতন্যদেবের অন্যতম প্রিয় শিষ্য সনাতন গোস্বামী এক মারাত্মক অসুস্থতার কারণে রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেবের রথের চলন্ত চাকার নীচে প্রাণ বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন। তখন মহাপ্রভুই তাঁকে বলেন, সনাতন, এরকম দেহ ত্যাগে যদি কৃষ্ণকে পাওয়া যেত তাহলে এক মূহুর্তের মধ্যে আমিও আমার লক্ষ জন্ম তাঁর শ্রীচরণে সমর্পন করতাম। কিন্তু দেহত্যাগে কৃষ্ণকে পাওয়া যায় না। একমাত্র ভক্তি ছাড়া, ভজনা ছাড়া তাঁকে পাওয়ার আর অন্য উপায় নেই।
এদিকে ইন্দ্রনীলময় পুরাণ বলছে, ‘জগন্নাথের রথের রশি সামান্য স্পর্শ করলেই পুনর্জন্ম হয় না।’ রথযাত্রা নিয়ে কপিল সংহিতায় আছে– ‘গুন্ডিচাখ্যং মহাযাত্রা যে পশ্যন্তি মুদনিতাঃ সর্বপাপ বিনির্মুক্তা তে যান্তি ভুবন মম।’ স্বয়ং জগন্নাথদেব বলছেন, গুন্ডিচা মহাযাত্রায় যে ব্যক্তি আমাকে দর্শন করবে সে কালক্রমে সব পাপ থেকে মুক্ত হয়ে আমার মধ্যে আশ্রয় পাবে।