কালী পুজোর দিন মায়ের আশীর্বাদ পেতে হলে এই টোটকাগুলি প্রয়োগ করুন

756

মহাকালের আবির্ভাব অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। আর সেই মহাকালের শক্তি হলেন কালী। কথিত আছে, সৃষ্টির আদিতে যে সময় বিষ্ণু যোগনিদ্রায় আচ্ছন্ন। বিষ্ণুর নাভিকমলে ব্রহ্মা বিরাজিত। সেই সময় বিষ্ণুর কর্ণফুল থেকে মধু ও কৈটভ, দুই দৈত্যর সৃষ্টি হয়। কোনও কারণে তারা বহ্মাকে আক্রমণ করতে গেলে, ব্রহ্মা তখন মহাকালীর স্তব করেন। প্রথম ভক্তের ডাকে মায়ের কালী রূপে আবির্ভাব। মূলত, মা কালীর কাছে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। যিনি আকুল হয়ে ডাকবেন, তাকে রক্ষা করতে মা বার বার আবির্ভূত হবেন। তিনি দেবতা, রাক্ষস, দৈত্য বা মানুষ যিনিই হন। মা কালীকে অনেকেই অনেক কারণে ডেকে থাকেন, আর মা তার ভক্তদের দশ হাতে রক্ষা করেন। মাকে কেউ ডাকে আর্থিক উন্নতির জন্য, আবার কেউ ডাকেন সন্তানের জন্য, রোগ, শত্রু ও এই রকম নানা কারণে ভক্তরা মাকে ডেকে থাকেন।

কালী পুজোর দিনের কিছু টোটকা –

কালী পুজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত একটা ঘি-এর প্রদীপ ঘরের ঠাকুরের আসনে জ্বালিয়ে রাখুন, খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন নিভে না যায়।

 কালী ঠাকুরের মন্দিরে কিছুটা আতপ চাল, একটি গোটা নারকেল, ১০৮ টি জবা ফুলের মালা এবং কিছুটা ঘি দান করুন।

 কালী পুজোর দিন রাতে বাড়ির ছাদে একটি কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ জ্বালুন। 

 কালী পুজোর উপবাস যারা করেন, তারা পূজার পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করান, তাতে ফল খুব ভাল পাবেন।

কালী পুজোর দিন সন্ধ্যার পর বট গাছের গোঁড়ায় তিন বার কালো তিল রাখুন। মনের আশা পূর্ণ হবে।

কোনও মন্দিরে একটি খাড়া দান করুন।