ভাষাহীন এক রক্তঝরা নির্বাচন

69

এ কোন ছবি দেখল সারা দেশ ? যে ছবি আমাদের এই বাংলায় গত কোন নির্বাচনে দেখেছে কি এই বাংলা ? এ কোন ভোট চিত্র আঁকা হল গণতন্ত্রের ক্যানভাসে ?

মৃত্যুর মিছিলে কোন জয়ের বিজয় পতাকা তোলা হবে কান্নার শব্দের ধ্বনিতে ? সামান্য পঞ্চায়েত এত রক্ত , এত প্রাণের বলি চেয়েছিল কি আমাদের ধরিত্রী মা ? ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছতে গেলে এগুলিই কি একমাত্র পথ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীগণ ? জানতে চাই আপনাদের কাছে ? পারস্পরিক দোষারোপে কি এই কান্না আর স্বজন হারানোর ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া যাবে ? কয়েকদিন বাদেই আপনারা নানা রঙের আবীর মেখে জয়োল্লাসে মাতবেন, তখন কি মনে পড়বে , এই জয়ের পথটা পিচ্ছিল হয়েছিল আমাদের প্রিয় ভাই এর রক্তে ? অনেক প্রশ্ন আছে , যার কোন উত্তর দিতে পারবেন না আপনারা। সরকারি মতে প্রায় এগারো জন বলি হয়েছে এই গণতন্ত্রের পুজোয়। শুরু হয়েছে এই মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতোর। কলকাতার ঠাণ্ডা ঘরে বসে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরানোর নানা কৌশলের আবার পরিকল্পনা করবেন আপনারা। আর বোকা সাধারণ মানুষগুলো সম্মোহিত হয়ে নিজেকে বলি দেবেন  অবলীলায়। আপনারা জানেন ওই মানুসগুলো সামান্যতেই সন্তুষ্ট , তাই সামান্যের লোভ দেখাবেন আপনারা।সেই লোভে ছুটবেন অভাবি মানুসগুলো। মা হারাবেন ছেলেকে, বোন হারাবে ভাইকে , স্ত্রী হারাবে স্বামীকে, সন্তান হারাবে বাবাকে। এই হারানোর মিছিলে থাকবেন না আপনারা মানে নেতা-নেত্রীদের কেউ। হারাবেন ওই বোকা সাধারণ মানুসগুলোর স্বজনেরা।এই রক্ত ঝরা রাজনৈতিক কুরুক্ষেত্রের রক্তাক্ত যুদ্ধ বন্ধ হোক। আর চাই না এমন রক্তাক্ত গণতন্ত্রের পুজো।