ঈশ্বরের রক্তে গণতন্ত্রের পুজো হয় কি ?

198

স্বপন দাস, যুগ্ম সম্পাদক:  রাত পোহালেই গণতন্ত্রের পীঠস্থানের একটি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েকমাস ধরে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে নাটক অভিনীত হচ্ছে , সেটা কতটা কাঙ্খিত আর কতটা গ্রহণ যোগ্য সেটা গণ তন্ত্রের ঈশ্বররাই (ভোটার ) জানেন। গণতন্ত্র রেঙ্গেছে ইশ্বরের রক্তে।কলুষিত হয়েছে হানা হানির আবর্তে। কে জিতল আর কে জিতল না , এটা এখন আর মুখ্য নয়, ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ময়দানে নামিয়ে , ভাইয়ের হাতে ভাইকে খুন হতে হচ্ছে। হয়ত অনেকেই বলবেন এটাই রাজনীতির একটি ধারা । যে ধারা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। এমনকি স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণ সেই ধারাকেই সমর্থন করেছিলেন, অর্জুনকে ভাইয়ের দিকে মারণাস্ত্র ছোড়ার সময় উৎসাহিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু আমরা তো সাধারণ মানুষ , আমরা কেউ ই ক্ষমতা দখলের লড়াইতে নেই, সামান্য সাহায্য করি নাম মাত্র ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে।এই যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেখানে এত মৃত্যু , বলুন না কেউ কি মেনে নিতে পারছেন ? আমরা , যারা সাধারণ মানুষ, এই রাজনীতির মাকড়শার জালে পড়ে , একদল মাকড়শার হাতে রক্ত শুন্যতো এমনিতেই হব ? তাহলে এই মৃত্যু পরোয়ানা কেন ?
আমরা চাই , গণতন্ত্রের এই মহাযজ্ঞ গুলিতে একটু শান্তির বাতাবরণ। সেই শান্তির বাতাবরণের মাঝেই গণতন্ত্রের ইশ্বররা ভোট কেন্দ্রে আবির্ভূত হয়ে তাদের আশির্বাদ দান করুন। এখানে বাহুবলীর বাহুবলে হয়ত তাকে বশীভূত করা যাবে। কিন্তু তাঁর মনের গভীরে যাওয়া যাবে না। রাজনীতির মানুষদের জেনে রাখা ভালো , যে এরাই সুযোগ পেলে আপনাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দেবে একেবারে মাটিতে। তাই সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে চলুন সমাজের রক্ষাকর্তারা ।