আমার যন্ত্রণার থেকেও সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা অনেক বেশি, অবশেষে বুঝলেন মমতা

83

আজ হুইলচেয়ারে বসে জঙ্গলমহলের নির্বাচনী প্রচার সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর এই প্রথম সভা। এবং সেই সভা থেকেই মমতা প্রথমেই জানালেন, অনেকেই ভেবেছিলেন আমি প্রচারেই বেরোতে পারব না। কিন্তু আমি মনে করি, আমার যন্ত্রণার থেকেও সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা অনেক বেশি। বাংলায় শান্তিরক্ষা করতে হবে। তাদের ভালো থাকতে হবে। আমি একসময়ে বাঘমুণ্ডিতে এসেছি। রাতের অন্ধকারে অযোধ্যায় গিয়েছি। মানুষ গলতে পারতেন না ভয়ে। এই এলাকায় উন্নয়নের চূড়ান্ত কাজ করেছি। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করেছি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী করেছি। বীরসা মুণ্ডার নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। বাউরি বাগদি কুর্মী বোর্ড তৈরি করেছি। তফশিলি অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল তৈরি করেছি। বাঘমুণ্ডি ঝালদায় ওয়াটার প্ল্যান্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে জলের সমস্যা থাকবে না । বিনাপয়সায় চাল পাচ্ছেন। এদিকে গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা। বলেছিলেন বিনা পয়সায় গ্যাস দেবো। উজালার নামে কেলেঙ্কারি হয়েছে। আমরা বিজেপির মতো নেই। বিরসা মুন্ডার ছবি না দেখে অন্য একজনের গলায় বিরসা মুন্ডা বলে মালা দিয়ে চলে গিয়েছিল। বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায়। মাথা নত করবেন না। মমতা আরও জানান, কেন্দ্রে স্বৈরাচারী সরকার চলছে। যতদিন শ্বাস আছে লড়াই চলবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা টাকাও দেয়নি। আমি ৩০০টি ট্রেনের ভাড়া দিয়েছি। চার লক্ষ লোককে ২০০০টাকা করে দিয়েছি।

উল্লেখ্য, সুপ্রিমো। ২০১৬ সালে পুরুলিয়ায় ৭টি বিধানসভায় জয় পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা ভোটে পায়ের তলার মাটি হারায় তৃণমূল। মূলত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর ভাঙনেই গত দেড় বছরে জেরবার হয়েছে দল। এই ভাঙনেক রুখতেই মমতার বার্তা, “আমি যদি ভাঙা পায়ে লড়তে পারি তোমরা কেন লড়বে না। যারা অভিমান করে বসে আছো বেরিয়ে এসো। যুদ্ধে অভিমান করে বসে থাকতে নেই। বিজেপিকে মুখের মতো জবাব দেবো।