অবশেষে সফল হল ধর্না, লিপিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন ধূপগুড়ির অনন্ত

191

প্রেমে ছলনা, প্ল্যাকার্ড হাতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় যুবক। এমনই নাটকীয় রূপ গতকাল থেকে দেখে আসছে ধুপগুড়ি বাসী। অবশেষে এই নাটকীয় রূপের আজ অবসান ঘটল। অর্থাৎ লিপিকা বর্মনকে বিয়ে করলেন অনন্ত বর্মন। সেই এক্সক্লুসিভ ছবি তুলে ধরলাম আমরা আপনাদের সামনে ।

উল্লেখ্য, গতকাল প্রেমে প্রতারণার অভিযোগ এনে রবিবার ধুপগুড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলা পাড়া প্রেমিকা এর বাড়ির সামনে ধরনায় বসে প্রেমিক যুবক অনন্ত বর্মন । এমন কি তার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেয় সে । এরপর হোয়াটস্যাপ , মোবাইল নম্বর সমস্ত কিছু ব্লক করে দেয় । এতেই মাথা বিগরে যায় অনন্তর । কারণ খুঁজতে প্রেমিকা লিপিকা বর্মন এর সঙ্গে দেখা করে। তখন সে জানতে পারে যে তার অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তার পরিবার । এই বিষয়ে মানতে নারাজ প্রেমিক যুবক অনন্ত বর্মন । এমনকি রবিবার সোনাপুর থেকে লিপিকা বর্মন কে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে এই খবর বন্ধু মারফৎ জানতে পারে অনন্ত । মেয়ে দেখতে আসার সময় তাদের রাস্তা আটকে ধরে তারা এবং তাদের ওপর এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের। এর পরে সেখান থেকে ছেলেপক্ষ ধুপগুড়ি থানায় চলে যাইয় । আর মেয়ে দেখতে না গিয়ে ফিরে যায় তারা । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায় । প্রতিবেশীরা জানিয়েছে দীপিকা এবং অ্নন্তের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় ৮ বছরের বেশি সময় ধরে । তবে হঠাৎ তাদের এই বিচ্ছেদে কি কারণে তা কেউ জানেন না ।

যাইহোক প্রেমিকা লিপিকার তাকে প্রত্যাখ্যান করা কোন ভাবে মেনে নিতে পারেনি অনন্ত । তাই সটাং বাড়ির রাস্তায় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসে পড়ে সে । তার দাবি প্রেমের আট বছর তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে , ভালোবাসার মূল্য চাই । এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ধুপগুড়ি থানার পুলিশ । পুলিশ কর্মীরাও তাকে বুঝিয়ে সে ধরনা থেকে তোলার চেষ্টা করে । কিন্তু প্রেমিক যুবক নাছোড়বান্দা সে কোন ভাবেই ধর্ণা থেকে উঠতে চান না । এর মধ্যে ছেলের এই কান্ড শুনে মেয়ের বাড়িতে যান অনন্তর মা ফুলবালা বর্মন । আর মেয়ের বাড়িতে পৌঁছতেই শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল মেয়ের পরিবারের সঙ্গে প্রেমিকের পরিবারের ঝাঁটা নিয়ে মার পিঠে জড়িয়ে পড়েন উভয়পক্ষ । সামাল দিতে আসরে নাম তো হয় ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ও র‍্যাফ কে ।