সাপের ছোবল খেয়ে সাপকে ধরে হাসপাতালে ছুটলেন রোগী, দেখা মাত্রই হুলুস্থুলু কান্ড হাসপাতালে

সাপের ছোবল খেয়ে ভয় না পেয়েও জ্যান্ত সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে এলেন সাপে কাটা রোগী। যা দেখেই আতঙ্কিত হাসপাতাল কর্মীরা। এদিন কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে হাতের আঙুলে বিষাক্ত গ্রীন পিট ভাইপার সাপের ছোবল খেলো ময়নাগুড়ি পানবাড়ি এলাকার কৃষক লুলেন রায়।এরপর সাপটিকে ধরে জারে পুরে হাসপাতালে সোজা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উপস্থিত হলো লুলেন রায় ও তার পরিবার।বিষাক্ত সাপ দেখে আতঙ্কিত হাসপাতাল কর্মীরা খবর দিলেন জলপাইগুড়ির পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে।তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করলে স্বস্তি ফিরলো চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফদের।

সাপটিকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর সেখানে রোগী ও নার্সিং স্টাফদের মধ্যে গ্রীন পিট ভাইপার সম্বন্ধে সচেতনতা প্রচার চালান বিশ্বজিৎ বাবু।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন লুলেন রায়। তার শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে।এদিন লুলেন রায় বলেন তিনি পাট চাষের জমিতে কাজ করছিলেন। আচমকাই এই সবুজ রঙের সাপটি তার হাতের আঙুলে কামড়ে দেয়। তারপর থেকে তার আঙুল ফুলতে শুরু করে। এরপর তারা সাপটিকে ধরে জারে পুরে হাসপাতালে চলে আসেন।ঘটনায় বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন পিট ভাইপার বা গ্রীন পিট ভাইপার নামে এই সাপটি সাধারণত চা বাগানে কিংবা জঙ্গলে থাকে। এরা বিষাক্ত সাপ।

তবে একজন মানুষকে মারার মতো পরিমান বিষ এদের বিষের থলিতে থাকেনা। যেখানে ছোবল দেয় সেই যায়গা ফুলতে শুরু করে। তখন মানুষ ভয় পায়। আর এতেই হার্ট এটাক হয়ে মারা যায়। তবে এই পরিবার সাপটিকে ধরে এনেছেন। এর কোনও প্রয়োজন ছিলনা। কারন সাপ দেখে রোগীর চিকিৎসা হয়না। সাপে কাটা রোগীর নির্দিষ্ট প্রোটোকল রয়েছে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হয়। আর সাপ ধরতে গিয়ে একদিকে যেমন রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরী হয়। আর এর ফলে রোগীর বিপদ বাড়তে থাকে আর একইসাথে সাপ যদি আরও কাউকে ছোবল দেয় তবে বিপদ আরও বাড়বে বই কমবে না। তাই সাপে কাটলে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসা যায় ততই ভালো বলে জানান তিনি।