বিজেপি নেতারা চম্বলের ডাকাত: মমতা

117

গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আশানুরূপ ফল হয়নি শাসক দলের। তাই একুশের বিধানসভা ভোটে পাখির চোখ যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরবঙ্গ একই রকমভাবে বিজেপির। সেই কারণে আবারও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের জনসভায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভায় আবারও কেন্দ্রীয় সরকার সহ বিজেপির সমালোচনা করলেন তিনি। এদিন সভায় মমতা বলেন,‘বিজেপির মতো বড় চোর আর কোথায় আছে? এত বড় ডাকাত, চম্বলের বড় বড় ডাকাত সব।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন,‘সরকারি টাকা দিদির ভাইদের একাউন্ট এ যায়।’

একুশের ভোটের আগে বিজেপির হাতিয়ার চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে এ নিয়েও সুর চড়ান মমতা। এদিন তিনি বলেন,‘প্রতিশ্রুতি মনে প্রতারণা। উনিশ এ বলেছিল বছরে দুই কোটি ছেলে – মেয়ের চাকরি হবে,সেই ২ কোটির মধ্যে ২ লাখ হয়েছে?’ মমতার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে ও পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি তরফে বলা হয়েছে,আজকে গুজরাটে,কর্নাটকে, দিল্লি,হরিয়ানতে আমাদের বাংলার ছেলেরা চাকরি করতে যাচ্ছে। কারণ ওখানে বিজেপির রাজত্ব আছে। ওখানে কারখানা আছে।উনি তো পারবেন না, যিনি কারখানা বন্ধ করে ক্ষমতায় এসেছেন।

অন্যদিকে , একুশের ভোটে বাংলায় প্রার্থী দেবে ‘মিম’। মিমের প্রধান আসাউদ্দিন এর এই ঘোষণার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে।

মমতার নিশানায় বিজেপি – মিম

মনলবার জলপাইগুড়ির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার জন্য ,আবার হায়দ্রাবাদের একটা ধরে এনেছে। অর্থাৎ বিজেপি হিন্দুদের ভোট নেবে। আর মিম মুসলিমদের ভোট নেবে। আর আমি কি কাঁচ কালা খাবো।’