এবারের রথযাত্রা সম্পর্কে ৫টি অজানা আশ্চর্য তথ্য, জানলেই অবাক হবেন

হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান হল উৎসব রথযাত্রা। তবে ঠিক কত বছরের পুরনো, তা বলা কঠিন। রথ যানটির প্রাচীনত্ব সন্দেহাতীত। আর্য সভ্যতার কালেই রথ যে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছিল, সে কথা জানা যায় পুরাণ ও মহাকাব্যগুলি থেকে। সেই ঐতিহ্য আজও বহমান পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায়। দেবতাকে এমন মানবায়িত স্তরে আর কোথাও দেখা যায় কিনা সন্দেহ। পুরীর রথযাত্রার উৎসবের সঙ্গে ভক্তি, বাৎসল্য এবং দেবতার মানবায়ন একত্র হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই ভারতের জনপ্রিয়তম উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম রথযাত্রা। বাংলার ঐতিহ্যেও রথযাত্রা এক অতি প্রাচীন উৎসব। বাংলার রথযাত্রার কিছু নিজস্বতা রয়েছে, যা পুরীতে দেখা যায় না। তেমনই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রথযাত্রা উৎসব এমন সব আঞ্চলিক রূপ পরিগ্রহ করে রয়েছে, যা কল্পনার অতীত। এখানে পুরী ও আঞ্চলিক রথযাত্রা সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য রইল, যার অনেকটাই হয়তো আজ বিস্মৃতির অতলে।

১.পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিনন্ন নাম রয়েছে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’।

২. জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা রয়েছে, বলরামের রথে রয়েছে ১৬টি চাকা, এবং সুভদ্রা রথে রয়েছে ১২টি চাকা

৩.পুরীর রথযাত্রার তিথি আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া। বিশ্বাসীদের ধারণা, এদিন বৃষ্টি হবেই। বর্ষাকালে বৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু এমন কোনও রথের দিন স্মৃতিতে নেই, যেদিন বৃষ্টি হয়নি।।

৪. শুধু জগন্নাথ নন, কেরলে বিশ্বনাথ-বিশালাক্ষী রূপী হরপার্বতীর, তামিলনাডুতে দেবী মারিআম্মানেরও রথযাত্রা হয়। শ্রীকৃষ্ণ মূর্তিরও রথাযাত্রা হয় কোনও কোনও স্থানে।

৫. পুরীতে প্রতি বছর নতুন রথ নির্মিত হয়। কিন্তু বাংলার বেশির ভাগ জায়গাতেই স্থায়ী রথ রয়েছে।