পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলে বড়সড় ফাটল, কপালে ভাঁজ পড়ল অভিষেকের

দিদি যেদিন দিল্লি গদিতে বসবেন সেদিনই দিল্লিতে যাব আমি, বছর খানেক আগের অনুব্রতর এই স্বপ্নকে সম্প্রতি পূরণ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আসানসোল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুদূর দিল্লির তিহাড়ে। তাঁর অনুপস্থিতিতে ভোটমুখী বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে, এ বার কার্যত তা স্বীকার করে নিলেন বীরভূমেরই সাংসদ শতাব্দী রায় । দলীয় সভায় সেই নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা গেলে তাঁকে। মূলত, দলীয় সভা থেকে নাম না করে হুঁশিয়ারি দিলেন অপসারিত ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রকে। প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে গোষ্ঠী তৈরির অভিযোগ করলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ।

শতাব্দী বলেন, “দু’একজন যদি মনে করেন, কয়েক জনকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করবেন, তাহলে এঁদের সমান হতে পারবেন না। যদি চালাক হন বা বুদ্ধিমান হন, তাহলে এই স্রোতেই ভাসবেন। উল্টো স্রোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।” দলীয় সভায় শতাব্দী আরও বলেন, রাজনীতি একটা এমন জিনিস, যেখানে একার কোনও দাম নেই।” ওই তবে দলীয় সভায় ভোলানাথের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল বলে মত তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের। এদিকে, ভোলানাথকে সতর্ক করেছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে খবর, জনসংযোগ যাত্রায় বীরভূমে গিয়ে ভোলানাথের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা ছিল, “এখনও না শোধরালে, সরিয়ে দেওয়া হবে।” তার পর পরই দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ভোলানাথকে।

প্রসঙ্গত, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলেই বীরভূমে পরিচিত ভোলানাথ। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ভোট না করিয়ে অবৈধ ভাবে দীর্ঘ ১৪ বছর সমবায়ের সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি। সেখানে দুর্নীতি করেছেন কয়েকশো কোটি টাকার। জেলাশাসকের কাছে সেই নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন সমবায়ের সদস্যরা। যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভোলানাথ।