ঋণ, মামলা মোকদ্দমা থেকে মুক্তি পেতে ‘মা কালী’কে এই ৭টি উপায়ে খুশি করুন

শক্তির প্রধান দেবী হলেন কালী। শিব যেমন সংহারের অধিপতি, তেমনই কালী হলেন সংহারের অধিষ্ঠাত্রী। তাই কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে কালীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের সময়ে দেবীর শরীর থেকে একটি রশ্মি পুঞ্জ বের হয়, যার ফলে তাঁর শরীর কালো হয়ে যায়। তাই তাঁর নাম হয় কালী বা শ্যামা। উল্লেখ্য, কালী পুজো করলে ভয় দূর হয়, আরোগ্য লাভ করা যায়, ব্যক্তির নিজের রক্ষা ও শত্রুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এমনকি কালীর পুজো করলে তন্ত্র-মন্ত্রের প্রভাবও সমাপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু কালীর পুজোয় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

১. কালীর সাধারণ পুজো যে কোনও ব্যক্তি করতে পারে। কিন্তু তন্ত্র পুজোর জন্য অভিজ্ঞ গুরুর তত্বাবধান প্রয়োজনীয়। মাঝ রাতে কালীর পুজো করা উচিত।

২. লাল ও কালো জিনিস ব্যবহার করে কালীর পুজো করা হয়ে থাকে।

৩. শত্রু ও মামলা থেকে মুক্তি পেতে লাল পোশাক পরে লাল আসনে বসুন। এর পর কালীর সামনে প্রদীপ ও গুগ্গলের ধূপ জ্বালান। কালীকে প্যাড়া ও লবঙ্গের প্রসাদ অর্পণ করুন। এর পর ওম ক্রীং কালিকায়ৈ নমঃ মন্ত্রের ১৩ মালা জপ করবেন। তার পর কালীর কাছ থেকে শত্রু ও মামলা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করুন। মন্ত্র জপ করার ১০ মিনিট পর পর্যন্ত জল স্পর্শ করবেন না। ২৭ রাত লাগাতার এই উপায় করে যান। দেখবেন সুফল পাবেন।

৪. এছাড়াও মামলা বা ঋণের সমস্যা জড়িয়ে থাকলে কালীর সামনে ৯ দিন পান পাতায় গুগ্গলের সুগন্ধিত ধূপ রেখে জ্বালান।

৫. জীবনে ঘোর সমস্যা দেখা দিলে ১১ বা ২১ শুক্রবার কালীর মন্দিরে যান। তার পর লাল আসনে বসে ওম ক্রীং নমঃ মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করুন। তার পর ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ওড়না, নারকেল, জবা ফুলের হার, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। শেষে ছোট মেয়েদের মধ্যে এই প্রসাদ বিতরণ করুন।

৬. কালীর পুজোয় লাল কুমকুম, অক্ষত, জবা ফুল অর্পণ করে হালুয়া ও দুধের তৈরি মিষ্টি অর্পণ করুন।

৭. শ্রদ্ধা-ভক্তি ভরে কালীর পুজো করলে দেবী সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন। তাঁর আশীর্বাদে চাকরি ও ব্যবসায় আগত সমস্ত সমস্যা দূর হয়।