আজ ফলহারিণী অমাবস্যা, এই উপাচারে পুজো করলে মনের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করবে মা কালী

জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে মা কালী পূজিতা হন ‘ফলহারিণী কালী’ নামে। সেই কারনে আজকের অমবস্যা ফলহারিণী অমবস্যা নামে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, এই তিথিতে দেবীর পুজো-আরাধনায় অশুভ কর্মফল নাশ হয় এবং শুভ ফল প্রাপ্ত হয়। বলা হয়, এ দিন শ্রীরামকৃষ্ণ মা সারদাকে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী ষোড়শী অর্থাৎ এই বিশেষ রূপে পুজো করেছিলেন। তবে পৌরাণিক মতে, যিনি আমাদের সমস্ত খারাপ কর্মফল হরণ করেন এবং মুক্তি দান করেন তিনিই ফলহারিণী কালী। আমাদের সমস্ত বিপদ, দৈন্য, ব্যাধি এবং সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করে তিনি ঐশ্বর্য্য, আরোগ্য, বল, পুষ্টি, ও গৌরব প্রদান করেন। বলা হয় তবে জীবকে যা তিনি দেন তা তাদের কর্মফল অনুসারেই দেন। বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে পূজারীর ও ভক্তের কর্ম ও অর্থভাগ্যে উন্নতি ঘটে। সাংসারিক নানান বাধা দূর হয়ে জীবনে সুখশান্তি লাভ হয়।

তাই অনেকেই এ দিন মনস্কামনা পূর্ণ করতে মা কালীকে ফল নিবেদন করেন। বলা হয়, মানত করা এই ফল ইচ্ছে পূরণ না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া নিষেধ। ইচ্ছে পূরণের পর সেই বিশেষ ফলটি গঙ্গায় ভাসিয়ে পুজোর উদযাপনও করার পরামর্শ দেন মুনিঋষিরা।

পুজোর নির্ঘণ্ট: আগামী ২৯ মে, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, রবিবার শ্রী শ্রী ফলহারিণী কালী পূজা। ফলহারিণী অমাবস্যা থাকবে রবিবার ২:২৫ থেকে সোমবার দুপুর ৩:৪৮ পর্যন্ত। পুরোহিতরা রবিবারই সমস্ত উপাচার করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই দিনে শনি জয়ন্তী পড়ছে। তাই সন্ধেবেলা কালো তিল আর সরষের তেলে প্রদীপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে পুজো দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। মনে করা হয় এতে সাধারণের মঙ্গল সাধন হয়।