অন্ধকারে ঢেকে যাবে গোটা পৃথিবী, হবে সৌর ঝড়! বাবা ভাঙ্গার ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণীর কথা মেনে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরাও

আজ থেকে ২৬ বছর আগে না ফেরার দেশে পারি দিলেও, তাঁর করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণীগুলো একের পর এক মিলতে দেখা গিয়েছে। যেমন- সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, চেরনোবিল বিপর্যয়, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, আমেরিকায় ৯/১১ হামলা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার নির্বাচন, সুনামি এবং ভাইরাসের হানায় মহামারির মতো নানা ঘটনা। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন বাবা ভাঙ্গা। আসল নাম ভ্যাঞ্জেলিয়া গুশতেরোভা। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎ গণনার মধ্যে ৮৫ শতাংশই নির্ভুল বলে জানান গবেষক থেকে বিজ্ঞানীরাও । তাঁদের মতে বুলগেরিয়ার দৃষ্টিশক্তিহীন এই নারী বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নাকি কখনও মিথ্যে হয় না।

মূলত, বুলগেরিয়ার বাসিন্দাদের কাছে তো বটেই, সারা বিশ্বের কাছেই দৃষ্টিহীন এই বৃদ্ধার জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। ১৯৯৬ সালে মারা যার তিনি। তার আগেই বলে গিয়েছেন ভবিষ্যৎ দুনিয়ার নানান কথা। ২০২২ সালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলি নিয়ে তিনি যা বলেছিলেন, তার অধিকাংশই ঘটেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জল সংক্রান্ত বিপর্যয়ের কথা বলেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। বাস্তবে তাই ঘটেছে। চলতি বছরে বহু দেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। ইউরোপে ইতালি ও পর্তুগালের বহু এলাকা জলে ডুবেছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার একাধিক দেশও বন্যার কবলে পড়ে। তার মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানও। তবে ভয়ের কথা হলো ২০২৩ সালের জন্য এর চেয়েও আতঙ্কের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন তিনি। সে অনুযায়ী গোটা পাঁচেক ভয়ংকরতম ঘটনা ঘটতে পারে আগামী বছর।

বাবা ভাঙ্গার মতে একটি বড় ও শক্তিশালী দেশ জৈব অস্ত্রের হামলা চালাতে পারে অন্য দেশের উপরে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান। তবে সেখানেই কি জৈব অস্ত্রের ব্যবহার হতে চলেছে- আশঙ্কা থেকেই যায়। বাবা ভাঙ্গার আরেকটি ভবিষ্যৎ বাণী হলো- ২০২৩ সালে হতে পারে ভয়ংকর সৌরঝড়। যা পৃথিবীর অভিকর্ষের বড়সড় ক্ষতি করে দেবে। বাবা ভাঙ্গার মতে এর ফলে গোটা পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যাবে। লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

এমনকি বিস্ফোরণ ঘটতে পারে পরমাণু চুল্লিতে। এর ফলে আকাশে ছড়াবে বিষাক্ত মেঘ। দূষিত আবহাওয়ার কারণে এশিয়ার বহু মানুষ মারণ রোগে আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা। বাবা ভাঙ্গার মতে, ২০২৩ সাল থেকে ল্যাবরেটরিতে জন্মাবে মানব শিশু। এখন থেকে সন্তানের গায়ের রঙ ফর্সা না কালো হবে, তা ঠিক করার সুযোগ পাবেন বাবা-মা। অর্থাৎ মানুষের জন্মের