কিসের এত ভয়? তবে কি এবার প্রকাশ্যে আসবেন নেতাজি?

183

সোমনাথ সিনহা: একটা ভয় সবাই বয়ে নিয়ে চলেছে ….

এই কারনেই রাষ্ট্রসংঘে আজও সুভাষচন্দ্র বসুর নাম যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে হিসেবে রয়েছে। প্রকাশ্যে এলেই ভারত সরকার তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের হাতে তুলে দিতে বাধ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাষ্ট্রসংঘ শুধুমাত্র নেতাজির ক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত রেখেছিল সাল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যদি নেতাজি প্রকাশ্যে আসেন তাহলে যুদ্ধঅপরাধী হিসেবে রাষ্ট্রসংঘে তাঁর বিচার হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৪৫ সালে যদি নেতাজির মৃত্যু হয়েই থাকে থাকে তবে রাষ্ট্রসংঘ কেন প্রথমে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তাঁর জন্য অপেক্ষা করলো? আবার ১৯৯৯ সালের পর তা বাড়িয়ে ২০২১ সাল কেন করলো? কিসের এত ভয়?
আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটেন-আমেরিকা জানিয়ে দিয়েছে ২০২১ সালের আগে, তাদের হাতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত কোন নথি-পত্র তারা প্রকাশ করতে পারবে না। না, আমাদের দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী, কোনও রাষ্ট্রপতি, দেশের এতগুলো অঙ্গরাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী – এব্যপারে আজঅবধি কোনও প্রতিবাদ করেননি।

মূলত, ভয়টা শুরুতেও ছিল। ১৯৩৯ সালের ১২ জুলাই সর্দার প্যাটেল তৎকালিন কংগ্রেস সভাপতি বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদ-কে চিঠি লিখে এক নির্দেশ দিয়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র-কে দল বিরোধী কাজের জন্য ‘শো-কজ নোটিস’ জারি করতে। তাঁর বিরুদ্ধে অপবাদ আনা হলো তিনি নাকি বম্বে এআইসিসির ‘মদ্যপান নিষিদ্ধ’ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রতিবাদে তা খারিজ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর নেহেরু আর প্যাটেল (১৯৪৮, ১৫ জানুয়ারী) ভারতের প্রতিটি থানায় নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন, ‘কোনও থানায় নেতাজির ছবি রাখা যাবে না।‘ সেখেত্রেও প্রতিবাদ বিক্ষোভে সেই নির্দেশও তাঁরা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভারতীয় রাজনীতিতে আজও প্রাসঙ্গিক। তাই ভয়টা থেকেই যাচ্ছে।