ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী যদি নেতাজি হতেন তবে আজ ভারতবর্ষের অবস্থা যেমন হতো?

214

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে ভারতকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কটকে জানকীনাথ বসুর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা কটকে র্যাভেনশ কলিজিয়েট স্কুলে এবং পরে কলিকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে ও স্কটিশ চার্চ কলেজে হয়। তিনি দর্শন শাস্ত্রে বি. এ. অনার্স ডিগ্রী নিয়ে কেমব্রিজে পড়তে যান। তিনি আই. এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকুরীতে যােগদানের জন্যে মনােনীত হন। ভারতে আসার পর তিনি চাকুরী ত্যাগ করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের শিষ্যত্ব নেন এবং ১৯২১ সালে গান্ধীজির অসহযােগ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। অসহযোগ আন্দোলনের সময় তিনি কারারুদ্ধ হন।

অসহযোগ আন্দোলনের পর চিত্তরঞ্জন ও মোতিলালের নেতৃত্বে স্বরাজ্য দল গঠিত হয়। সুভাষ চন্দ্র স্বরাজ্য দলে যােগ দেন। কলিকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনে ও বাংলার আইনসভার নির্বাচনে স্বরাজ্য দল অভূতপূর্ব জয়লাভ করে। এরপর ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরী কংগ্রেস এ তিনি পট্টভি সিতারামাইয়াকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেও গান্ধিজির প্ররোচনায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গঠনে সুভাষকে চরম অসহযোগিতা করা হলে তিনি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর নেতাজি ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে ফরওয়ার্ড ব্লক দল গঠন করেন। তিনি কলকাতায় যুবসমাজকে নিয়ে হল ওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলন করেন। এর ফলে ১৯৪০ সালে ভারত রক্ষা আইনে সুভাষচন্দ্র বসুকে বন্দী করে। সুভাষ তার মুক্তির জন্য আমরণ অনশন শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গভর্নর তাকে মুক্তি দিয়ে নিজগৃহে নজরবন্দি রাখেন। কিন্তু সুভাষচন্দ্র ১৯৪১ খ্রীঃ ১৫ই জানুয়ারি ইংরেজ পুলিশের চোখে ধুলা দিয়ে ভারত ত্যাগ করেন। এই ঘটনাকে শিশিরকুমার বসু মহানিষ্ক্রমণ বলেছেন। তিনি উত্তর পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে কাবুলের পথে ভারত ছেড়ে যান। তবে ভারত ত্যাগ করলেও ভারতের স্বাধীনতার জন্য ভারতকে ব্রিটিশ শাসন মুক্ত করতে নেতাজির ভূমিকা অতুলনীয়। কিন্তু আজকের প্রশ্ন, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী যদি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু হতেন তবে আজ ভারতের অবস্থা কেমন হতো? তা আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহ করছি তাদের মতে,

১. ভারতভাগ হত না

২.তিব্বতে চিন হামলার সাহস পেত না (অর্থাৎ নেপাল আর ভুটান চিনের প্রতিবেশী হত না! আর ভারতের সাথে চিনের বর্ডার কম হত)

৩.তদানিন্তন বালুচিস্তান ভারতের সাথে যোগদান করতে চেয়েছিল, কাজেই আফগানিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার বেশি হত

৪.এভাবে মধ্যোত্তর-এশিয়া তথা ইউরোপের (রাশিয়া সমেত)সাথে ভারত সহ মায়ানমার বা আশেপাশের দেশের বানিজ্য কয়েক বিলিয়ন ডলার্স হত, যার জেরে অখন্ড ভারত বিশ্বের উন্নত দেশের মধ্যে একটা আর সম্ভবত আজকে বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থিনীতি হত

৫.ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্য হত

৬.ভারত নিজে পিছিয়ে চিনকে (শুধু কমিউনিস্টশাসিত দেশ বলে!) রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্য হতে দিত না

৭.ভারতীয় উপমহাদেশ সমেত পাশ্চাত্যের দেশগুলো সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত হত না

৮.প্রতিরক্ষায় তুলনামূলক কম খরচ করে দেশোন্নয়নে বেশি অর্থ বরাদ্দ হত

৯.মাও জে দং (মাও সে তুং) তিব্বত নেপাল ভুটান আর ভারতের দুটো রাজ্যকে নিজের বলে দাবি করত না

১০.তাহলে চিন ভারতে ১৯৬২-তে হামলা করার সাহস পেত না

১১.পাকিস্তান থাকত না মানে বাংলাদেশে, বালুচিস্তানে আর ভারতে নরনিধন আর গণধর্ষণ ঘটত না, যার ফলে আজ ভারতের জনসংখ্যা আজ ১৭০ কোটি হত!

১২.পাকিস্তান আর আফগানিস্তান চিনের প্রতিবেশী হত না

১৩.ভারতে ধর্ম, মুখস্থ আর সংরক্ষণের বদলে প্রতিভাভিত্তিক শিক্ষা, চাকরি আর রাজনীতি চলত

১৪.কংগ্রেস (মহাত্মা গান্ধীর ইচ্ছানুসারে) থাকত না অর্থাৎ তাদের করা একটাও দুর্নীতি হত না

১৫.বাংলা ভাষার বেশি বিকাশ হত

১৬.চিন ভারতকে আর ভারতের প্রতিবেশীদের ঋণ-জালে জড়ানোর চেষ্টাও করত না (শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীভ আর পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ঋণগ্রস্ত যদিও ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান আর মায়ানমার এখনও সেই জালে পুরোপুরি জড়ায়নি)

১৭.চিন ভারতকে সেনাজালে জড়ানোর কুচেষ্টাও করত না (বর্তমানে গোয়াদরে সৈনিক নামিয়েছে আর শ্রীলঙ্কায়, বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে আর মালদ্বীভে একই ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা চিনের আছে)

এছাড়াও, আপনাদের কি মত, যদি ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যদি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু হতেন, জানান কমেন্টে…