মাত্র ১লাখে জিপসি এখন আপনার!

বর্ষার মরশুম, উপরন্তু আজ শনিবার, উইকেন্ডে ছুটির মেজাজ। প্রিয়জনদের সাথে বেরিয়ে পড়াই যায়, পাড়ি দেওয়া যায় একটু দূরে কোথাও যেখানে এই দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর তা যদি হয় জিপসি-র মতো একটি গাড়িতে করে তবে আনন্দ আর রোমাঞ্চটা হয়তো দ্বিগুণ হয়ে যায়। ভাবছেন হঠাৎ এই গাড়িই কেন! কারণ একটি আইকন গাড়ি ছাড়াও, মারুতি জিপসি ভারতে গাড়িপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর এখন এই গাড়িকে খুব কম অর্থব্যায়ে নিজের করে নেওয়ার সুযোগ আপনাদের হাতে এবং এই সুযোগের মেয়াদও বেশী নয় আর।

ভারতীয় সেনার মারুতি জিপসি এস.ইউ.ভি-র ৩০,০০০টি ইউনিট রয়েছে। এই পেট্রলচালিত এস.ইউ.ভি-র প্রথম উত্পাদন শুরু হয় ১৯৮৫ সালে, বর্তমানে যা প্রায় অবলুপ্তির পথে।  ভারতীয় সেনাবাহিনীও টাটা সাফারি স্টর্মের সাথে তাদের ব্যাবহৃত জিপসি গাড়িগুলিকে প্রতিস্থাপন করছে কিছু কিছু করে। ভারতীয় সেনারা যে জিপসি ব্যবহার করতেন তা বিক্রি বা বাতিল করা হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে বছর দুয়েক আগে থেকেই।

এই সপ্তাহের শুরুতে, মারুতি জানায় যে জিপসি আগামী এনসিএপি ক্র্যাশ পরীক্ষায় অংশ নেবে না, যা ২০১১ সালের ১লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। যতদিনে মারুতি সুজুকি তার গঠন আপগ্রেড করে, জিপসি উৎপাদন স্থগিত থাকবে বলেই ধরা যায়। এটি গঠনগত শক্তিশালী ও উপযুক্ত করতে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে, তার সবচেয়ে বড় ক্রেতারাই আর আগ্রহী নন, তাই এই বিনিয়োগ মারুতি সুজুকির বোর্ড থেকে অনুমোদন হয়ত পাবে না। তবে এরকম মূল্যে ভিনটেজ গাড়ি পাওয়ার সুযোগ কখনো আর হবে কিনা সন্দেহ! এই বিক্রয়প্রক্রিয়া আদিত্য প্যাটেল-এর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।  তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জিপসি গাড়ির কিছু অংশ বিক্রি করবেন এবং শর্ত সাপেক্ষে, তিনি একটি গাড়ি বিক্রয়ের জন্য মূল্য ধার্য করেছেন ১-২ লক্ষ টাকা।

তাঁর ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন- “আমার কাছে ১৯৯৯-২০০৮ এর মডেল জিপসি আছে যা সেনারা এক সময়ে ব্যবহার করত। ভাল গঠন, সব অংশ অক্ষত, গাড়ি ব্যাভারযোগ্য। শর্ত মূল্য ১ লাখ থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত, জিপসি মডেল এবং গাড়ির মানের উপর ভিত্তি করে, যদি পুণে থেকে এনওসি ও রেজিস্ট্রেশন চান তবে সেই দামটি প্রকৃত। আগামী ১৫ বছরের বৈধতার সঙ্গেই এটি নতুন গাড়ি  রেজিস্টার করা হবে। ” যোগাযোগের ঠিকানাটিও তিনি উল্লেখ করে দেন তিনি- গোকুলনগর অবস্থান, কাতরাজ-কান্দোয়া রোড, পুনে। তাই গাড়িপ্রেমীরা আর দেরী করবেন না, কথায় আছে না! শুভস্য শীঘ্রম।