এবার থেকে নিমেষে সেরে যাবে Diabetes! খুব শীঘ্রই বাজারে আসছে Teplizumab নামক ওষুধ

৮০০ কোটির জনসংখ্যায় বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ টাইপ-১ ও টাইপ- ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চেয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী বেশি দেখা যায়। ওজন কমানো, শরীরচর্চাসহ জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা গেলেও টাইপ-১ হলো জেনেটিক রোগ। এতদিন পর্যন্ত এটি প্রতিরোধ করার মতো কোনো উপায় আবিষ্কৃত না হলেও, অনেক গবেষণার পর টাইপ-১ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় একটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। যার মাধ্যমে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের এ ওষুধ প্রয়োগ করা হলে তাঁরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেরি করে আক্রান্ত হতে পারেন। এফডিএর অনুমোদন পাওয়া ওষুধটির নাম টেপলিজুমাব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে টেপলিজুমাব ওষুধটি ‘নতুন যুগ’-এর সূচনা করেছে। এটি এ ধরনের ডায়াবেটিসের শুধু লক্ষণকে মোকাবিলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রথমবারের মতো মূল কারণকে মোকাবিলা করতে পারছে। ওষুধটি প্রয়োগ করা হলে এটি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার আচরণ স্বাভাবিক করে তোলে। এতে এটি তখন ভুল করে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষকে আক্রমণ করে না। মূলত, টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা আচরণ বদলে ভুল করে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন উৎপাদনকারী গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোকে আক্রমণ করে বসে।

টেপলিজুমাব ওষুধের কাজ কী

২০১৯ সালে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কিছু মানুষকে পরীক্ষামূলকভাবে টেপলিজুমাব ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তাঁরা যে সময় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় ছিলেন, তার চেয়ে দুই বছরের কিছু বেশি সময় পর আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিলম্বের বিষয়টি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে কমবয়সীদের জন্য। কারণ, ওই বাড়তি হিসেবে পাওয়া সময়টুকুতে তাদের ইনসুলিন নিতে হবে না কিংবা নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে না। গবেষকেরা বলছেন, এ ওষুধ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের রক্তের শর্করার মাত্রা তুলনামূলকভাবে আরও বেশি বছর স্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে। শুধু তা–ই নয়, তারা আরও বেশি দিন রক্তে উচ্চ শর্করাজনিত বিভিন্ন জটিলতায় (কিডনি কিংবা চোখের অসুখসহ বিভিন্ন রোগ) আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিসের প্রধান দুটি ধরন আছে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিস মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার ওপর আঘাত করে এবং ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে যথেষ্ট ইনসুলিনের উৎপাদন হয় না কিংবা শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় না।