বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা! ‘নাসা’ না থাকলে আজই সাড়ে ৪টের সময় ধ্বংস হয়ে যেত পৃথিবী?

তীব্র গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এক গ্রহাণুর গতিপথ সফলভাবে বদলে দিল নাসার ‘ডার্ট’ মহাকাশযান। মূলত, এই গ্রহাণুর গতিপথ বদল করতে ১০ মাস আগে নাসা পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডার্ট’ নামের ওই মহাকাশযানটি নিক্ষেপ করেছিল। এ দিন ভারতীয় সময় ভোর প্রায় সাড়ে ৪টের সময় সেই মহাকাশযানটি ওই গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরেছে বলে নাসার তরফে জানানো হয়েছে। তবে আগামী কয়েকমাসে ওই গ্রহাণুটির গতিপথ এবং সংঘর্ষের ফলে তার মধ্যে হওয়ার গর্তের গভীরতা সব পরিমাপ করে বোঝা যাবে যে, এই পরীক্ষা কত শতাংশ সফল হয়েছে। তবে, নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষামূলক এই অভিযান মোটের উপর সফল হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্য পৃথিবীর দিকে যে বিপদ ধেয়ে আসছিল, তা কাটানো সম্ভব হয়েছে ৷

নাসার মহাকাশযানটি ওই গ্রহাণুতে ধাক্কা মারার সময় পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ছিল, ১১.৩ মিলিয়ন কিলোমিটার । এই অভিযান এবং যে মহাকাশযানটিকে পাঠানো হয় তার নাম রাখা হয়েছিল ডার্ট । সেটি ১৪ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টার বেগে ওই গ্রহাণুর উপরে আছড়ে পড়েছে । বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই ডার্টটি গ্রহাণুতে আছড়ে পড়ার পর, বিশাল বড় একটি গর্ত তৈরি করবে । সেই সঙ্গে মহাকাশে টুকরো টুকরো পাথরের স্রোত তৈরি করবে । গ্রহাণুটির চারপাশে ধুলোকণায় ঢেকে যাবে । আর তার ফলেই ওই গ্রহাণুর গতিপথে বদল এসেছে বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা ৷ পাশাপাশি গ্রহাণুর গতিপথ বদলে, নাসার এই সফল ডার্ট নিক্ষেপ আগামী দিনে মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসা সবকরম বিপদ থেকে মনুষ্য সমাজকে লড়াই করার একটা পথ খুলে দিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।