সাফল্যের সঙ্গে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হল নতুন অস্ত্র

ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন এক গবেষণায় বড় ধরনের সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করলেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই চিকিৎসায় একজন ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন এবং অন্যদের টিউমার সঙ্কুচিত বা ছোট হয়েছে। যে ভাইরাসটি ক্যানসারের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম ‘হারপেস সিম্প্লেক্স’। বিজ্ঞানীদের আশা এই চিকিৎসার মাধ্যমে যাদের দেহে ইতোমধ্যেই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে (অ্যাডভান্সড স্টেজ) অথবা যারা জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, রোগ নিরাময়ের মাধ্যমে তাদের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।

গবেষণার সাথে ব্রিটেনে এক ক্যানসার চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভাইরাস যখন শরীরে প্রবেশ করানো হয় তখন তা খুব দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে যে ক্যানসারের চিকিৎসা করা হবে তার অ্যান্টিজেন দিয়ে ভাইরাসটিতে কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে সেটি শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে চাঙ্গা করবে। পাশাপাশি এ ভাইরাল থেরাপি নিয়ে গবেষণার ফলাফল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে চিকিৎসা সংক্রান্ত এক সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- নয় জন রোগীর মধ্যে তিনজনকে শুধু আর পি টু ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, যাদের টিউমার ছোট হয়ে গেছে। ত্রিশ জনের মধ্যে সাতজনকে ইনজেকশনের পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল খুব কম। গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক কেভিন হ্যারিংটনন বলছেন, এরকম ভালো ফল পাওয়া অব্যাহত থাকলে আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে এই ভাইরাল থেরাপি দেওয়া হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে প্রায় ১ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেসব ক্যানসারে মানুষ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সেগুলো হলো স্তন, ফুসফুস, কোলন এবং মলদ্বার এবং প্রোস্টেট ক্যানসার। ক্যানসারে মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী তামাক সেবন, হাই বডি মাস ইনডেক্স, অ্যালকোহল সেবন, কম ফল ও সবজি গ্রহণ এবং শারীরিক পরিশ্রম না করা।