একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর গুরুত্ব কতখানি?

137

সৌরভ দত্তঃ বাংলায় ক্ষমতায় আসার জন্য বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? বিগত ২ বছর ধরে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজ্য রাজনীতিতে। কখনো উঠে এসেছে সৌরভের নাম, কখনো উঠে এসেছে স্বামী কৃপানন্দ মহারাজের নাম, আবার কখনো উঠে এসেছে শুভেন্দু সহ মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। অনেকেই বলেছেন মিঠুন ভোটে না দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করলেও, একুশের ভোটে বিজেপির যদি রাউন্ড ফিগার পেরিয়ে যায় তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে যেকোন আসন থেকে জিতিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে একটা কথা বিজেপি যদি প্রথম থেকেই বলে দিত মিঠুন তাদের সিএম ক্যান্ডিডেট তাহলে গুরুত্ব আরও বাড়ত বিজেপির। কিন্তু বিজেপি এখনও সেনিয়ে মুখ খুলছে না। তবে রাজ্যে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির অবশ্য দাবি করেছেন, যথাসময়ে সেই মুখ তুলে ধরবে বিজেপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভার পর থেকে মমতার আচলকে অনেককেই টিস্যু পেপারের মতন ব্যবহার করেছেন। যেকারনে, সবার সামনেই মুলো, গাজর কিংবা বিস্কুট ঝুলানোর মত অবস্থা। সবাই মনে মনে শীর্ষ পদের দাবিদার। উল্লেখ্য, ভারতের বিগত জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে বিরোধিদের কোণ একক প্রার্থী ছিলোনা । ফলে ফাকা মাঠে গোল দিয়েছেন গুজরাটি বাবা। তেমনি মিঠুনের অবস্থা ঝাপসা হওয়ার মত, প্রথম দিনেই নিজেকে জাত গখরো বলে জনমনে স্লগ ওভার খেলেছেন। তাছারা তিনি এর আগে বুদ্ধবাবুর সঙ্গ ছেড়ে দিদির দলেও যোগ দিয়েছিলেন । সেই অর্থে এটা দলত্যাগের মতন ঘটনা । জানেন তো অনেক সময় দলের ত্যাগি কর্মীদের চোখের দিকে এই দলত্যাগি নেতারা তাকাতে পারেন না? যাইহোক যোগদানের আগে যতটা প্রচার হয়েছিল, বাস্তবে এর প্রভাব ততটা দেখা যাচ্ছেনা মিঠুনের প্রতি! এবার সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই গণদেবতাদের ওপর। তাই ২রা মে যেদলই জিতুক না কেন? তাকে কিন্তু সর্বদাই মনে রাখতে হবে গণদেবতাদের প্রসন্ন করার জন্য এই পাঁচটি বছর সময় দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে।