জন-গন-মন

185

ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তবে কদিন হল দেশের বড় – ছোট মানুষেরা এই দেশের গণতন্ত্রকে অ্যাই পেল্লাই পেল্লাই বাক্যবাণে বিদ্ধ করছে। এই ব্যাপার নিয়ে কিছু বলার আগে মানুষকে অবগত করানো ভালো, গণতন্ত্র কি? এর কঠিন সংজ্ঞা দিয়ে আমি মানুষকে দিকভ্রম করতে চাই না, তাদের জন্য সৃজিত মুখার্জী বহুদিন পূর্বেই ২২শে শ্রাবণ ছবিতে গণতন্ত্রের স্পষ্ট সংজ্ঞাটা সংলাপ হিসাবে ছুঁড়ে মেরেছেন সাধারণ মানুষের মুখে, তা হল – ” এদের কাছে গণতন্ত্র মানে ভোট দেওয়া।” তাহলে সত্যি কি এদেশের মানুষ নিজেদের গণতন্ত্রের এই সাধারণ অধিকারটাও পেল না? ভোট দিতে গিয়ে মার খেয়ে এল, জবাব দিতে পারলে না? তাহলে কি সত্যি ওই বড়-ছোট মানুষেরা ঠিকই বলেছেন, গণতন্ত্র বিপন্ন?
আমি ভেবেছিলাম মানুষ জাগবে, কিন্তু মানুষ সামান্য ভাবেওনি। আমিও গায়ে ভাবুক স্টিকার লাগিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তারপর ভাবলাম আমি কোন মানুষকে নিয়ে কথা বলছি? তারা কি আদেও সাধারণ নাকি অসাধারণ? যে মানুষ ২ টাকা চাল, স্কুল থেকে সাইকেল পেয়ে ভোট দেয়? যে মানুষ ভোট দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকারের থেকেও আলিঙ্গনরত পাবলিক থুড়ি নোংরামি দেখানো পাবলিককে ক্যালানো বেশি দামি বলে মনে করে?
আসল সমস্যাটা কিন্তু নেতা-নেত্রীতে নয়, সমস্যাটা কিন্তু অপনাতে-আমতে, যে ব্যালট বাক্স ভেঙে কাগজ ছিড়ছে তাতে।
তবে কি মানুষ শুধুই নির্বাক? শুধুই গুম মেরে থাকে? না – তারা প্রতিবাদ করে, ভোট না দিতে পেরে বাড়ি এসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ফেসবুকে চারটে বাতেলা মার্কা পোস্ট দেয়।
আর আপনারাও ভাবছেন, আমি কাদের বোঝাচ্ছি, – যারা হরিনামের প্রসাদ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, কিন্তু ভাগাড়ের মাংস স্রেফ হজম করে নিল, সেই উন্নত ও মোটা চামড়াধারী মানুষেরা আমার লেখা পড়ে রাতারাতি পাল্টে যাবে?