১০টি দেশকে বোকা বানিয়ে কোটি কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ যেভাবে বিক্রি করল চিন?

128

সৌরভ দত্তঃ করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করতে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা সর্বপ্রথম জানায় চিন। সেসময় অনেক দেশ বলেছিল, প্রথমে করোনা ভাইরাসের জন্মদাতা হয়ে এখন ভ্যাকসিন তৈরি করে সারা বিশ্বে সেই ভ্যাকসিন বিক্রির মাধ্যমে নতুন উপার্জনের পথ তৈরি করবে চিন। আর সেসময় চিনের সরকার জানিয়েছিল, চাইনিজ ভ্যাকসিন ৭৫ শতাংশ কার্যকর। চিন দুটো ভ্যাকসিন বানায়, একটির দাম রাখে ৫ হাজার টাকা, অন্যটি মাত্র ১০০০ টাকা। আর এই কথায় বিশ্বাস করে, টার্কি, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ইজিপ্ট সমেত মোট ১০টি দেশ চাইনিজ ভ্যাকসিনের (করোনাভ্যাক) কোটি কোটি ডোজ অর্ডার করে দেয়। কিন্তু বর্তমানে এই ১০টি দেশ এখন আপসোস বোধ করছে চিনের থেকে এই ভ্যাকসিন কেনার পর। কারন তাঁরা অবশেষে বুঝতে পেরেছে, এই ভ্যাকসিনের জলের চেয়ে বেশি কিছু নয়। আশ্চর্যের কথা, ব্রাজিল ইতিমধ্যে চিনের ভ্যাকসিন ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবং ভারতে তৈরি কো-ভ্যাকসিন কেনবার সিধান্ত নিয়েছে। মূলত, ব্রাজিল চিনের মোট ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ কেনে। কিন্তু নাগরিকের ওপর এর ব্যবহারের আগে ব্রাজিলের সরকার ট্রায়ালের সিধান্ত নেয়। যেখানে দেখা যায়, চিনের করোনা ভ্যাকসিন জল ছাড়া কিছুই নয়। তার কার্যকারিতা আসলে ৭৫ শতাংশ নয়, মাত্র ৫০.৩৮ শতাংশ কার্যকারিতা।

এরপরেই চোখ কপালে ওঠে ব্রাজিলের। পাশাপাশি ভাবনাচিন্তা শুরু করে সেদেশের সরকার যে এত টাকা দিয়ে কেনা ভ্যাকসিন তাঁরা কি করবে? ব্রাজিলের এই অবস্থা দেখার পর বাকি আরও ৯টি দেশ সাবধান হয়ে যায় তারাও এখন চিন্তায় রয়েছে চিনের ভ্যাকসিন গুলো কি করবে? সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে এখন ইন্দোনেশিয়া। কারন সর্বপ্রথম তাঁরা চিনের থেকে ভ্যাকসিন কেনে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া জনগণেরা চাইনিজ ভ্যাকসিন ওপর ভরসা রাখেনি। তাই দুদিন আগে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন এবং সবার সামনে ভ্যাকসিন নেন। এদিকে, ভ্যাকসিন নেবার পর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি যখন ৩০ মিনিটের জন্য অবজারভেশনে যান সেসময় ব্রাজিল থেকে রিপোর্ট আসে যে, চাইনিজ ভ্যাকসিন তো বেকার? তারপর থেকে সরকার চিন্তায় পড়ে যায় তাঁরা করবে তো, কি করবে? কারন, ব্রাজিলের রিপোর্ট আসবার পর কেউ তো চাইনিজ ভ্যাকসিন নেবে না? মূলত, ইন্দোনেশিয়া চিন থেকে মোট সাড়ে ১২ কোটি ডোজ নেয়। এবার চিন তো সেই ভ্যাকসিন ফেরত নেবে না। না আছে কোন গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি। যাতে তাঁরা চিনের ওপর কাউন্টার করতে পারবে। এরপরেই চিন থেকে ভ্যাকসিন নেবার পর সরকারের ওপরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে ভাইরাস হোক ভ্যাকসিন চিন কোনদিনও সত্যি কথা বলেনি। কেউ চিনের দেওয়ালে ওপারে গিয়ে সত্য উদঘাটনও করতে পারবে না। কারন সত্য বলার পরিণতি হিসেবে আমারা দেখেছি সেই করোনার ডাক্তারের কথা, দেখেছি ৩ মাসের বেশি প্রকাশ্যে না আসা জ্যাক মার ও মুখ। কারন চিনের গোপন কথা কেউ যদি প্রকাশ্যে আনে তাহলে তার এফোঁড় ওফোঁড় করে দিতে পিছপা হয়না চিনা সরকার। আর এটা ভারতের থেকে আর কে বেশি জানে।