সমীক্ষা যাই বলুক বিজেপি দু’ভাবেই তৈরি হচ্ছে- সরকার গঠন ও বিরোধী আসনে বসার জন্য

98

সম্পাদকঃ  রাত পোহালেই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে। শাসক আর বিরোধী শিবিরে জোর তৎপরতা। বেশ কিছু বুথ ফেরত সমীক্ষা শাসক গেরুয়া শিবিরের ফিরে আসার কথা বলেছে। সেই কারণে শাসক শিবিরের তৎপরতার ক্ষেত্রে একটু অন্য রকম বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজ আগের দিন । এই বিষয়ে একটু আলোকপাত করতেই এই প্রতিবেদন।
শাসক শিবিরের যে আলোচনা হয়েছে , সেটা সম্পর্কে রাজনৈতিক সুত্র মারফৎ যেটা জানা যাচ্ছে যে , এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে আগাম সমীক্ষা যাই বলুক না , ফিরে আসার ক্ষেত্রে এখনও দোলাচলে রয়েছে শাসক শিবির। কেননা তাদের হিসেব মত ২৪০ র বেশি আসন একেবারে নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। সেই ক্ষেত্রে বিজেপি একা নিরঙ্কুশ হবে , সেই বিষয়টিও ঝুলছে। এমতাবস্তায় তাদের প্রয়োজনীয় আসন যোগাড় করে সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগোতে হবে। এই ক্ষেত্রে দর কসাকসির একটা ক্ষেত্র তই হবেই। তখন সরকার গড়ার কৌশল কি হবে , সেই বিষয়েও আলোচনা চলছে দিল্লীর শাসক শিবিরে।ইতিমধ্যেই সমমোনোভাবাপন্ন দল্গুলির সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ। বেশ কিছু আঞ্চলিক দল , যারা আবার বিরোধীপক্ষেও রয়েছে , তারাও গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছে।ফলে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে একক সর্বোচ্চ আসন পাওয়া দল হিসাবে তারাই সবার আগে সরকার গড়ার জন্য দাবি জানাবে। অপরদিকে যদি বিজেপি যদি একাই ২৭৪ এর সীমা পেরিয়ে যায় , সেক্ষেত্রে মন্ত্রী সভায় অনেক পরিবর্তন আনতেই হবে এমন একটা সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে এসে পড়েছে। কেননা অনেক নতুন মুখ এবারের লোকসভায় আসতে চলেছে। তাঁরা আসছেন আঞ্চলিক স্তরে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবার অনেক বেশি মন্ত্রী পেতে পারে। যদি এই রাজ্যে ফল ভালো হয় অর্থাৎ আসন সংখ্যা বাড়ে। একটা বিষয়ে তাঁরা পরিষ্কার হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই , যে এবারের যে লোকসভা গঠন হবে , সেটা যদি গেরুয়া শিবির গঠন করে , তাহলে খুব শক্তিশালি বিরোধী পক্ষের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। আর লোকসভা চালাতে গিয়ে যে তাদের গলদঘর্ম হবে , সেটা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন।

অন্যদিকে যদি তাঁরা যদি বহুমত না পায়, সেক্ষেত্রে সংসদে তাদের নীতি কি হতে পারে সেই সম্পর্কেও একটা আভাষ রাজনৈতিক মহল সুত্রে পাওয়া যাচ্ছে, আগামী লোক সভার প্রথম দিকে বিরোধিতার ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি নিয়ে চলবে তাঁরা। কেননা ২০২১ এ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধান সভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সেই নির্বাচনের লড়ার গাইড লাইন তৈরি। পাখির চোখ সেদিকেই রাখবে বিজেপি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে একটু বেশি নজর দেবে তাঁরা। কেননা পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান রাজ্যসরকারের পরিবর্তনের জন্য একটা চোরাস্রোত চলতে শুরু করেছে। এবার যদি বিজেপি দেখে যে এই রাজ্যে সাত এর বেশি আসন তাঁরা জয় লাভ করেছে , বা তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হিসাবে বেশ উর্ধ গামী। তাহলে রাজ্যে আন্দোলনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর হবে। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই দেশের অরধেকের বেশি রাজ্যে বিজেপির শাসন ক্ষমতা রয়েছে। সেদিক দিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃস্টিকরবে তাঁরা। সব মিলিয়ে এখন গেরুয়া শিবিরে দু ভাবেই আলোচনা এগিয়েছে।