১লা বৈশাখে অপরিবর্তনীয় বাঙালি

 

সকালে ঘুম থেকে চোখ মেলে দেখার সাথেই আমারা ব্যস্ত হয়ে পড়ি নিজেদের দৈনন্দিন কাজে, কেউ ঘর সংসার সামলাতে আবার কেউবা নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রে। এক কথায় ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতা আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক। পাশ্চাত্যের আধুনিকতা এখন লেগেছে প্রাচ্যের পালে। প্রজন্মান্তরে সেই আধুনিকতা বিস্তার লাভ করেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে বাঙালির জীবনেও। তবে বাঙালি কোথাও যেন নিজেদের মধ্যে বড়ই একাত্ম।

ইলিশ চিংড়ির লড়াই হোক বা ঘটি বাঙালের ফুটবল কোঁদল, উৎসবের দিনে বাঙালি সব ভেদাভেদ ভুলে শুধুই বাঙালি। আসছে বাংলা নতুন বছর, বাঙালি জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।পুরোনো সব অপ্রাপ্তি কে ভুলে নতুনের হাত ধরে এগিয়ে চলা। চৈত্র শেষের চড়ক মেলা, গাজন এসব কিছু এ প্রজন্মের কাছে  মা ঠাকুরমার মুখে শোনা গল্প। দিন বদলের সাথে সাথে উৎসব চরিত্রে যদিও এসেছে পরিবর্তন তবে কোথাও যেন বাঙালি আজও ১০০% বাঙালিয়ানায় ডুবে যায় বছরের শুরুর এই দিনটিতে। পয়লা বৈশাখ ,দিনের শুরু থেকে শেষ বাঙালি মেতে ওঠে উৎসবের মেজাজে।পকেট মাফিক আয়োজন।পাট ভাঙা নতুন জামা,জল খাবারের পাতে ফুলকো লুচি আলুরদম, আর দীপ্রাহরিক ভোজে সাধ্যমত খাবারের ব্যবস্থা। দেশের মিটিতে থাকুক বা বিদেশের যে কোনো প্রান্তে, গ্লোবাল দুনিয়ায় সে দিন বাঙালি হয়ে ওঠে অপরিবর্তনীয়।