মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ঈশ্বরকে ডাকলেন মানস রঞ্জন ভুঁইয়া

পুজোর মুখে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক জেলা। এবিষয়ে গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,এটা ম্যান মেড ফ্লাড। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। না জানিয়ে জল ছেড়েছে। সেই জন্যই বন্যা হচ্ছে। ওরা আমাদের না জানিয়ে রাত তিনটেয় জল ছেড়েছে। মূলত, ঝাড়খণ্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের ফল ভুগতে হচ্ছে। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করছে না। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করলে আরও জল ধরে। এভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমি।” বাঁকুড়া জেলা পুরো ডুবে গিয়েছে, বর্ধমান ভাসছে। ওই জল আসছে হাওড়া-হুগলিতে। আর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রীদের কাজে লাগাচ্ছেন মমতা। জানা গিয়েছে, সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার বাঁকুড়ায় থাকবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় থাকবেন মলয় ঘটক। হুগলি দেখবেন ফিরহাদ হাকিম, বেচারাম মান্না। এবং মেদিনীপুর দেখবেন মানস ভুঁইয়া। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মাঠে নেমে পড়েছেন ডাক্তার বাবু। মেদিনীপুরে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মানস বাবু জানিয়েছেন, এখন আকাশে কালো মেঘ যদি সরে যায়, বৃষ্টিটা যদি থেমে যায়, আমাদের দুর্গতি একটু কম হবে। এটাই ঈশ্বরের কাছে আমাদের প্রার্থনা। তবে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত বিষয়ের দিকে নজর রেখেছেন। ডিএম ,এসপি, বিডিওরা সকলেই তৎপর। 

জানা গিয়েছে, এক লক্ষ ৮০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি । যার ফলে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক জেলা। তবে দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনা। ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির কারণেই ছাড়তে হয়েছে জল, দাবি ডিভিসি-র।