অবশেষে পুরনো মেজাজে ফিরছে পাহাড়, জুলাই থেকেই খুলছে দার্জিলিং

293

যতদিন না ভ্যাকসিন আসছে ততদিন করোনাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। আর এই কথাটিই এখন মেনে নিয়ে জীবনকে পুরনো ছন্দে ফির‍িয়ে নিয়ে আসছে মানুষজন। তাই আগামী ১ জুলাই থেকেই পাহাড়ে পুরনো মেজাজে পর্যটকদের স্বাগত জানানো হতে পারে বলে জিটিএ সূত্রে খবর। তবে, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। এমনকী দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) হোটেল, লজ, হোম স্টে’গুলিও কোনও বুকিং নিচ্ছে না। তবে জিটিএ সূত্রের খবর, সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই খোলা হবে পর্যটন ব্যবসা।

কিন্তু জিটিএ (Gorkhaland Territorial Administration) সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের অস্পষ্টতা কারনেই পর্যটকদের স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত হলেও সমস্যা দাঁড়িয়েছে। তারা বলছেন,একজন পর্যটক দার্জিলিংয়ে পৌঁছানোর পরে তিনি কি সরাসরি হোটেলে ঢুকতে পারবেন, না কি তাঁকে প্রথমে কোয়ারান্টিন সেন্টারে যেতে হবে, সেই ধন্দ কাটেনি। বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এসওপি ঘোষণা করেছে। তাঁদের প্রথম সাত দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারান্টিন এবং সাত দিন হোম কোয়ারান্টিনের কথা বলা হয়েছে। যদিও সরকারি নির্দেশ মেনে হোটেল খুলে দেওয়া হলেও পর্যটকরা কতটা আসবেন, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। এমনকী পর্যটকদের ক্ষেত্র কোয়ারানটিন নিয়মও স্পষ্ট নয়। হোটেল মালিকদের অনেকেরই প্রশ্ন, ‘কাল কোনও পর্যটক পাহাড়ে এসে কী সরাসরি হোটেলে ঢুকতে পারবেন? এখনও যা নিয়ম তাতে তাঁকে প্রথমে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টিনে যেতে হবে। বড় হোটেল করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে। পাহাড়ের ছোট হোটেলগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে মেনে চলা হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে চলব ঠিক করেছি।’

তবে, জিটিএ জানিয়েছে, আপাতত দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙে ঢোকার সমস্ত এন্ট্রি পয়েন্টগুলিতে হেল্প ডেস্ক খোলা হবে, সেখানে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি হোটেল পর্যটকদের জন্যেও থাকবে বিধিনিষেধ। মাস্ক ছাড়া কোথাও ঢুকতে দেওয়া হবে না। পর্যটকদের গাড়িগুলিতে অর্ধেক সংখ্যার বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। হোটেলগুলিতেও প্রতিটি ঘরে পর্যটকরা ছাড়লে ২৪ ঘণ্টা ফাঁকা রেখে স্যানিটাইজ করতে হবে।