চিকিৎসায় পেলেন না দলের কোন সহযোগিতা! চিরনিদ্রায় চলে গেলেন ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক

173

দলের কাছ থেকে অবজ্ঞা, স্থানীয় সহকর্মীদের কাছে ব্রাত্যের পর্যায়ে চলে যাওয়া সবার প্রিয় ফালাকাটার নেতা ও বিধায়ক অনিল অধিকারী নিঃশব্দে হার মানলেন জীবন যুদ্ধে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০বছর। মূলত, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন অনিল বাবু। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিকে শুক্রবার কলকাতা থেকে প্রয়াত বিধায়কের মরদেহ ফালাকাটায় নিয়ে আসা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরপর দু’বার ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন তিনি। উল্লেখ্য বেশ কয়েকদিন আগে আমরা তুলে ধরেছিলাম তার দূরবস্থার  কাহিনি । উল্লেখ্য অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের জন্য চিকৎসাধীন ছিলেন তিনি । টানা ৭২ ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল তাঁকে। দিন দিন বিলের পাহাড় জমে ৪০ লক্ষ ওপর ছাড়িয়ে গিয়েছিল। খরচ জোগাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বিধায়কের পরিবারের। তবুও কোন সাহায্যে মেলেনি নিজের দলের তরফ থেকে এমনটাই পরিবারের অভিযোগ ছিল। বিধায়কের একমাত্র ছেলে জয়ন্ত অধিকারী জানিয়েছিলেন, রাজ্য স্তর থেকে জেলা স্তরের সব নেতাই খোঁজ নিলেও আর্থিক কোনও সুরাহা করতে উদ্যোগী নন কেউ। এমনকী, রাজ্য সরকারের তরফে অসুস্থ বিধায়কের চিকিৎসার প্রাপ্য টাকাও জোটেনি বলে অভিযোগ তাঁর। তিন বার ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করেও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সুত্রের খবর এরপরই তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানাতরিত করা হয় ।

আরও পড়ুনঃ গুরুতর অসুস্থ ফালাকাটার বিধায়ক, বারবার দিদিকে বলোতে ফোন করেও মিলছে না সুরাহা

এদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই অনিল বাবুর চলে যাওয়াকে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না । এমনকি তার দলের সর্বক্ষণের সহকর্মীদের একাংশ একটু হলেও শাসক দলের প্রতি বিরূপ মত প্রকাশ করছেন। ফলে উত্তরবঙ্গের রাজনিতিতে অনিল অধিকারীর চলে যাওয়া একটা বর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।