গুরুতর অসুস্থ ফালাকাটার বিধায়ক, বারবার দিদিকে বলোতে ফোন করেও মিলছে না সুরাহা

143

দরজায় দরজায় আবেদন নিবেদন নীতি শেষ, এমনকি নিরুপায় হয়ে দিদিকে বলোতে ফোন করেও সাহায্য পাচ্ছেন না ফলাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারীর পরিবার। হয়ত ঘটনাটা অদ্ভুত শোনালেও এমনটাই এমনটাই ঘটেছে ফলাকাটা বিধানসভা এলাকার দুবারের জয়ী বিধায়ক অনিল অধিকারীর ক্ষেত্রে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার হাসপাতালে চিকৎসাধীন। টানা ৭২ ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে তাঁকে। দিন দিন বিলের পাহাড় জমে ৪০ লক্ষ ওপর ছাড়িয়ে গিয়েছে। খরচ জোগাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বিধায়কের পরিবারের। বিধায়ক হয়েও তবুও পাচ্ছেন না শাসক দল তথা নিজের দলের তরফে সুরাহা। এবিষয়ে বিধায়কের একমাত্র ছেলে জয়ন্ত অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্য স্তর থেকে জেলা স্তরের সব নেতাই খোঁজ নিলেও আর্থিক কোনও সুরাহা করতে উদ্যোগী নন কেউ। এমনকী, রাজ্য সরকারের তরফে অসুস্থ বিধায়কের চিকিৎসার প্রাপ্য টাকাও জোটেনি বলে অভিযোগ তাঁর। তিন বার ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করেও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিকে, চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাবার শারীরিক অবস্থা ক্রমশই আরও জটিল হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, টানা দেড় বছর ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছেন বিধায়ক। চার মাস আগে জটিল অপারেশনও হয় তাঁর। পুজোর আগে ফের কেমোথেরাপি নিতে মুম্বই গেলে সেখানেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থতার জন্যই গত লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। যেকারণেই এই এলাকায় ভোটে ভরাডুবি হয় শাসক দলের। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সময় তিনিই ছিলেন আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের একমাত্র বিধায়ক। ২০১৬ সালেও বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।

এদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মতে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভরাডুবির কারণেই কি ব্রাত্য র তালিকায় চলে গেলেন তিনি এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। শুধু তাই নয় তারা আরো জানাচ্ছেন একদিকে যেমন দক্ষিণবঙ্গের অধিকারী পরিবারের দলের মধ্যেই জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ঠিক অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের অধিকারী পরিবারের জনপ্রিয়তা দিন দিন তলানিতেই নামছে ।