আগামী বছরেও করোনার ভ্যাকসিন মিলতেও না পারে, উদ্বেগের কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

34

করোনায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব, প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বসে নেই চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। যেকারনে, সকলেই চাতক পাখির মত তাকিয়ে বসে আছে ভ্যাকসিনের জন্য। তবে ভ্যাকসিন কবে আসবে সেবিষয়ে কোন সঠিক সময় বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে মনে করা হচ্ছে, খুব সম্ভবত আগামী বছর ভ্যাকিসন আবিষ্কার হবে। এবং ভ্যাকিসন আবিষ্কারের পর তা প্রয়োগে ছাড়পত্র পেলেও প্রাথমিক পর্যায়ে তা বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথমসারির সমস্ত করোনা যোদ্ধা, প্রবীণরাই অগ্রাধিকার পাবেন। তবে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি এবং তরুণদের হয়তো ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথম। মূলত,গোটা বিশ্বের সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হবে। তবেই রুখে দেওয়া যাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।

সৌম্য স্বামীনাথন আরও বলেন, সাধারণ মানুষ এখন ভাবতে শুরু করেছে যে আগামী বছরের জানুয়ারীর শুরু থেকে এপ্রিলের মধ্যে তাঁরা ভ্যাকিসন হাতে পেয়ে যাবেন। এবং তারপর থেকে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এই চিত্র দেখা নাও যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মৃত্যুর হার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশের বিষয় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে । কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপের দেশগুলিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। তাই সংক্রমণ নিয়ে এখনও সরকারি প্রোটোকল মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।