সৌরভ ও গম্ভীরের মতন গভীর ষড়যন্ত্র শিকার হলেন না তো দীনেশ কার্ত্তিক?

75

 

ম্যাচ শুরু হতে আর কিছুক্ষন বাকী, তার আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্স ভক্তদের একপ্রকার চমকে দিয়েই দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দীনেশ কার্তিক। অধিনায়কের দায়িত্ব অর্পণ করলেন দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, তথা ইংল্যান্ড দলের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইয়ন মরগ্যানের হাতে, সাথে বললেন,-“এই মুহূর্তে ব্যাটিংয়ে আরো বেশি পরিমাণে জোর দিতে চান।” কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,-“দীনেশ নিজে থেকেই অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে গৌতম গম্ভীরকে সরিয়ে কার্তিকের হাতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। প্রথম সিজনেই দলকে প্লে-অফে নিয়ে এসেছিলেন তিনি, তবে কাপ দিতে পারেননি। তবে, ২০১৯ সাল থেকেই কলকাতার পারফরম্যান্স হয়েছে ক্রমশ নিম্নমুখী, সেবারে প্লে অফে ওঠা হয় না কলকাতার। চলতি সিজনে ৭টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে কেকেআর। দলের এমন খারাপ পারফরম্যান্সে সারা দেশ জুড়ে কলকাতার ভক্তরা কাঠগোড়ায় তোলে দীনেশ কার্তিককে, তার অধিনায়কত্ব নিয়েও ওঠে প্রশ্ন, সাথে ওঠে তাকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন।

তবে, কার্তিক সরে দাঁড়ানোর পরপরই টুইটারে একটি পোস্ট কলকাতার প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর বললেন, ‘একটা উত্তরাধিকার তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়, কিন্তু তা নষ্ট করতে স্রেফ কয়েক মিনিট লাগে।’

আর এরপরই শুধু ক্রিকেট মহলে নয়, সারা দেশে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কলকাতা নাইট রাইডার্সে সৌরভের মতো গৌতম গম্ভীরও কি এমন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন? এমন প্রশ্নই দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ কিছু ক্ষণে।

প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক। কারণ ১৩ বছরের আইপিএল ইতিহাসে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল অবধি দলের নেতৃত্বভার সামলেছেন তিনি। গম্ভীর কলকাতার অধিনায়ক থাকাকালীন প্রায় প্রতিবারই প্লে-অফে পৌঁছেছিল দল।

২০১১ সালে গম্ভীরের নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি জিতে যায় কেকেআর। এছাড়া ২০১২ সালে তার নেতৃত্বেই কলকাতা আইপিএল ট্রফি জেতে। তবুও হঠাৎ করে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।

কারো নাম উল্লেখ করে আক্রমণ না করলেও গম্ভীরের এই টুইটটি যে কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্টকে উদ্দেশ্য করে দেয় তা বুঝতে বাকি নেই কারো। দল এখন যেভাবে চলছে, তা কোনোভাবেই তার পছন্দ নয় সেটিও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার।

সবশেষে প্রশ্ন একটাই থেকে গেল, সত্যিই কি ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অধিনায়ক পদ থেকে সরে গেলেন কার্তিক? নাকি হলেন ষড়যন্ত্রের শিকার? এই প্রশ্ন রয়ে গেল অধরাই।