করোনা দিন প্রায় শেষ। খুব শীঘ্রই এন্ডেমিক পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছে ভারত।এমনই মন্তব্য করেছেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গগনদীপ কং । মূলত, এন্ডেমিক হল সাধারণ মানুষ ভাইরাসের উপস্থিতিতে বাঁচতে শিখে যায়। এই পর্যায় মহামারী শেষের সর্বপ্রথম ধাপ, মতামত বিশেষজ্ঞদের। গগনদীপ কং জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা প্রথম দুটি ঢেউয়ের মতো হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত করোনার পরিস্থিতির এন্ডেমিক পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। ইনফ্লুয়েঞ্জাও এন্ডেমিক পর্যায়ে একসময় প্রবেশ করেছিল। তবে নতুন কোনও ভ্যারিয়্যান্ট এলে আবারও মহামারীর প্রকোপ পড়তে পারে দেশে। কারণ এক্ষেত্রে এক ধরনে ভ্যারিয়্যান্ট এক রকম আচরণ করে, অপর ভ্যারিয়্যান্টের চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে। পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়্যান্টের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে নতুন করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন গগনদীপ কং। অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে পুরনো ভ্যাকসিনের একটি ডোজ এবং নতুন ভ্য়াকসিনের একটি ডোজ দিলে তা বেশি কার্যকরী হবে কিনা, সেই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক সৌমা স্বামীনাথন কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, ভারত ‘এন্ডেমিক’ পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে, যা অতিমারির শেষ হওয়ার প্রথম ধাপ। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে যে এলাকাগুলিতে সেভাবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েনি, সেখানে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি পড়তে পারে। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে, সেই বিষয়ে এখন কিছু জানাতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে সামান্য স্বস্তি দিয়ে এই নিয়ে পরপর তিন দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের কম থাকল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ২৬,০৪১। গত একদিনে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ২৯,৬২১। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৭৮ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমায় অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাও তিন লক্ষের কম হয়েছে। অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬২০। এই সংখ্যা গত ১৯১ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।