জাতীয় দলের তকমা হারাতেই তৃণমূল ছাড়লেন এই হেভিওয়েট নেতা

সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের ধাক্কা শাসক শিবিরে। রাজ্য সভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর ফলে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জন।

গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফালেইরোকে দলে নিয়ে বড় চমক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ফালেইরোর হাত ধরেই গোয়া কংগ্রেসে বড়সড় ফাটল ধরিয়েছিল তৃণমূল। ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস ত্যাগ করেন তিনি। ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এসে যোগ দেন তৃণমূলে। ওই বছরই নভেম্বর মাসে ফালেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। অর্পিতা ঘোষের জায়গায় তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ করা হয়। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রভাব বেশ গভীরভাবেই পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল?

বিশেষজ্ঞদের মতে, গোয়া বিধানসভা ভোটের মুখেই বিতর্কের সূত্রপাত। ভোটে তাঁকে প্রার্থী করা হলেও লড়তে চাননি ফালেইরো। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপালেও কার্যত বিপর্যয় ঘটে তৃণমূলের।

এর পর থেকেই ফালেইরোর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করে নেন, ফালেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠানো তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলের মধ্যে একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন গোয়ার প্রবীণ এই নেতা। দলীয় কর্মসূচিতেও যোগ দিতেন না তিনি। পদত্যাগপত্রে অবশ্য নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন গোয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।