প্রয়াত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর যোশী

96

প্রয়াত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনার বর্ষীয়ান নেতা মনোহর যোশী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। গত ২১ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হন মনোহরবাবু। তারপরেই তাঁকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

শুক্রবার কাকভোরে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শিবসেনার এই বর্ষীয়ান নেতার প্রয়াণে শূন্যতার সৃষ্টি হল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আরএসএসের একনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তিনি। ৮০-এর দশকে শিবসেনাতে যোগ দেন মনোহরবাবু। বালাসাহেব থ্যাকারের সুনজরে ছিলেন তিনি। তাই রাজনীতিতে দ্রুত উথান হয় তাঁর।

 

শিবসেনা থেকে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন মনোহরবাবু। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যোশী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। পরে মুম্বই উত্তর-মধ্য কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসাবেও নির্বাচিত হন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাজপেয়ীর জমানায় লোকসভার স্পিকার পদেও বসেছিলেন মনোহর যোশী। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। মুম্বইয়ের মেয়র থেকে বিধান পরিষদের সদস্য এমনকী মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতাও ছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালের ২ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মনোহর যোশী। পড়াশোনার জন্য মুম্বইয়ে আসেন। শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করলেও রাজনীতিতে যোগ দেন ১৯৬৭ সালে। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মুম্বইয়ের পুরসদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে মুম্বইয়ের মেয়রের পদও সামলেছেন। ১৯৭২ সালে মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯০ সালে ভোটে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হন মনোহরবাবু। ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত ওই শিবসেনা নেতার এদিন দুপুরেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মনোহর যোশীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ, শিবসেনা (উদ্ধব থ্যাকারে শিবির) নেতা সঞ্জয় রাউত, উদ্ধব থ্যাকারে।