সারা রাত জেগে বালেশ্বরের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার আসল কারন খুঁজে বের করলেন রেলমন্ত্রী

একসাথে তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ । ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৯০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে । এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। এরইমাঝে মুখ খুললেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বলা বাহুল্য গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুর্ঘটনাস্থলেই রয়েছেন রেলমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “রেল দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখেছেন। কারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এবং ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা গিয়েছে।” রেলমন্ত্রীর দাবি “ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত আমাদের প্রথম কাজ এই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা এবং রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা। সেই লক্ষ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।” ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রেলের তরফে।

যদিও গতকাল প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং মালগাড়িটি তিনটি আলাদা ট্র্যাকে ছিল। বালেশ্বর জেলায় বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে এই মারাত্মক সংঘর্ষের জেরে তিনটি ট্রেন মিলিয়ে মোট ১৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। অন্যদিকে, ‘ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মেনলাইনে যাওয়ার জন্য। এরপর সিগন্যালটি তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু, ট্রেনটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে এবং সেখানে দাঁড়ানো মালগাড়িতে ধাক্কা দেয়। ইঞ্জিনটি উঠে যায় মালগাড়ির উপর। সেই সময় ডাউন লাইনে যশবন্তপুর সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস চলে আসে এবং তার দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।