আমিও রেলমন্ত্রী ছিলাম, মমতার কথা শুনে বিরক্তি প্রকাশ বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনার মৃত্যুমিছিলের পিছনে দায়ী কে? সিগন্যালিং ব্যবস্থার সমস্যার কারণেই জেরেই কি ট্র্যাক বদলাতে পারেনি করমণ্ডল এক্সপ্রেস ? নাকি চালকের গাফিলতি ? যদি তা নাও হয়, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী করে ? অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস – কবচের কার্যকরী না হওয়া ঘিরে ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করতেও শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিশেষ করে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে প্রাক্তন-বর্তমানের মধ্য মতাবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এই মারাত্মক রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫০০-র কাছাকাছি হতে পারে। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি তো শুনেছি যা ভয়াবহ অবস্থা তাতে মৃতের সংখ্যা ৫০০ হতে পারে। এখনও অনেক কামরায় তল্লাশি চালানো বাকি।” সে সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তখনই মমতাকে থামিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে বলেন, “এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৮। উড়িষ্যা সরকার এবং রেলের তরফে এই সংখ্যাই নিশ্চিত করা হয়েছে।” যদিও শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮৮, আহত ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০০০। এরপরে মমতার সংযোজন “আমিও রেলমন্ত্রী ছিলাম। রেল আমার সন্তানের মতো। আমার সময়ের অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম এখানে ছিল না। তাই এত মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ যাদের চলে গিয়েছে তাঁদের তো আর ফেরানো যাবে না, কিন্তু, এই সিস্টেম চালু থাকলে দুর্ঘটনায় হয়তো এড়ানো যেত।”

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। সাংবাদিকদের সামনে বেশ বিরক্তই দেখাচ্ছিল রেলমন্ত্রীকে। পরে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমনটা বলছেন বিষয়টা ঠিক তেমন নয়।” এরপর রবিবার সকালে তাঁর দাবি, “রেলওয়ে সেফটি কমিশনার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে রেল। যে কমিটি এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর জানান, যে বা যারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে তাঁদের।