BIG BIG BREAKING: বিমানবন্দর থেকেই ফিরতে হবে মমতার প্রতিনিধি দলকে!

40

অসমের পুনরাবৃত্তি উত্তরপ্রদেশে।তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরেই আটকানো হবে।জানাল উত্তরপ্রদেশের ডিজিপির।১৪৪ ধারা থাকায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে যেতে দেওয়া হবে না।যোগীর প্রশাসন সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত,নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ। আন্দোলন দমনে সবচেয়ে হিংস্র বিজেপির উত্তরপ্রদেশ সরকার। পুলিসি অত্যাচারে নিহতের তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে। নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন যোগীরাজ্যে। আজ লখনউ পৌঁছবে তৃণমূলের তিন সাংসদ সহ চারজনের প্রতিনিধিদল।
নাগরিকত্ব আইন ঘিরে দেশজোড়া বিতর্কে একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমে প্রতিবাদ সংগঠিত করছেন। ‘নো এনআরসি, নো সিএএ’ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) এই স্লোগান অস্ত্র করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ দেখিয়েছেন মমতা। বাংলায় এক শ্রেণীর মানুষ আন্দোলনের নামে অশান্তি তৈরি করলেও, কৌশলে তা প্রশমিত করে তিনি শান্তির আবেদন করে দফায় দফায় পদযাত্রা করে চলেছেন। কিন্তু আন্দোলনে গুলি চালিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বারো জনের প্রাণ নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গুলিচালনার ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন মমতা। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে মমতা দলের প্রতিনিধিদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে। এই প্রতিনিধিদলে থাকছেন, লোকসভার সদস্য প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার দুই সদস্য নাদিমুল হক ও আবির বিশ্বাস এবং প্রাক্তন সাংসদ দিনেশ ত্রিবেদী। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় স্তরে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রীর নাম। এই বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা বিরোধী শিবিরে বাড়তি বল সঞ্চার করছে। বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পরে এনডিএ শরিকদলগুলিও বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। সিএএ কার্যকর না করার পক্ষে সরব হচ্ছে বিজেপির বন্ধুদলগুলিও। ফলে, সিএএ বিরোধিতায় জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক শক্তিগুলির বিন্যাসেও বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সেই পটভূমিতে মমতাও তাঁর মানবিক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে ভিনরাজ্যের আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানানোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা আজ, রবিবার লখনউ যাচ্ছেন। তৃণমূলের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মানবিক উদ্দেশ্যে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন এবং আহত আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে তাদের প্রতিনিধিরা লখনউ যাবেন। যা বস্তুত মোদি বিরোধী জেহাদের প্রতি সংহতি জানানোর নামান্তর বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি।
মমতা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছেন। আগামীকাল, সোমবার রাজ্যের সমস্ত মহকুমায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পরের দিন উত্তর কলকাতার সিমলায় স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটে ছুঁয়ে তৃণমূলের মিছিল যাবে বেলেঘাটায় গান্ধী ভবন পর্যন্ত। নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।