৪৭ বছর পর ফের সরকারি কয়লাখনিকে বেসরকারির হাতে তুলে দিলেন মোদি

65

দুর্গতি প্রশমনে এবং দেশকে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে ৪১টি সরকারি কয়লাখনি বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ এখন থেকে নিলাম করে কয়লাখনি বেচা হবে। এরফলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার হাতে আর একমাত্র কয়লা ব্যবসার দায়িত্ব থাকছে না। সাথেই এই ক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নি বাড়বে। এই উপলক্ষে মোদি বলেন, এখন থেকে কয়লা ব্যবসা হবে প্রতিযোগিতামূলক। আগে খনি নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব ছিল। এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর এব্যাপারে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, করোনা আমাদের স্বনির্ভর হতে শিখিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। খনি বেসরকারিকরণ করায় লাভবান হবেন গরিব মানুষ।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কয়লাখনির সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের খবর নিশ্চিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। খনি ও শক্তিক্ষেত্রের বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়। মূলত, কেন্দ্র ৪৬টি কয়লা খনি নিলাম ও বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে ৪২টির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ৪৬টি খনির মধ্যে ৩০টি নিলামের মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রকে এবং ১৬টি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংস্থাকে চলতি বছরের মধ্যেই বণ্টন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কয়লা মন্ত্রক। এই ৪৬টি খনি যারা পাবে তারা উৎপাদিত কয়লার নিজেদের কাজে অথবা নির্ধারিত প্রয়োজনে ব্যবহারের পর ২৫ শতাংশ যে কোনও দামে বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১-১৯৭২ সালে জাতীয়করণ হয়েছিল। এবং আইন প্রণয়নের পর ১৯৭৩ সালে ১ মে খনিগুলি বেসরকারি মালিকানা থেকে সরকারের হাতে আসে। তৈরি হয় কোল ইন্ডিয়া, ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড। ২০১৫ সালে কয়লাখনির নিলামের জন্য সংসদে আইন পাশ হয়। আইন অনুসারে বেসরকারি কোম্পানিগুলি নিজেদের সিমেন্ট, ইস্পাত, বিদ্যুৎ, অ্যালুমিনিয়ামের জন্য খনি নিলামে কিনতে পারবে। সবথেকে বেশি দর দেবে যে কোম্পানি তাকেই খনি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। এতদিন একমাত্র কোল ইন্ডিয়াই খনি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারত।