ভাঙন অব্যাহত শাসক-শিবিরে, বিজেপিতে যোগদান করেলেন ৯০০ জন নেতা কর্মী!

188

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির উত্থানে দলবদলের হিড়িক লেগেছে। আর বিষয়টি বেশি করে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। মূলত, তৃণমূলের অন্তত ৮০ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদানের জন্য মুখিয়ে আছেন বলে রাজ্যে এসে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে অভাবনীয় সাফল্যের পর আরও আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে পদ্ম শিবিরের। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গে এবার ২৩টি আসন দখলের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল বিজেপি। ১৮টি আসন দখল করেছে তারা। তাই ক্ষমতাসীন দলে ভিড়তে তৃণমূল কিংবা সিপিএম ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করছেন নেতাকর্মীরা। এবং গেরুয়া শিবিরে মানুষের ঢল দেখে চরম চিন্তায় শাসক দল। এই ক্রমেই গতকাল ফের বড়সড় ভাঙন ধরল শাসক দলে।

উল্লেখ্য, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে রানাঘাট ১ ব্লক থেকে বৃহস্পতিবার ৯০০ জন তৃণমূল নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। রানাঘাটে জেলা অফিসের সামনে আজ এই যোগদান পর্ব চলে। এদিন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন রানাঘাট ১ ব্লকের দলীয় সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ সরকার (কাজু)। এছাড়াও দলে যোগদান করেন রানাঘাট ১ ব্লকের তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য সঞ্জিত বিশ্বাস, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যা সারজিনা বিবি, রামনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা ঝিলমিল সরকার সহ আরো এক সদস্যা। এছারাও রানাঘাট ১ ব্লকের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শচীন্দ্র নাথ ঘোষ, হবিবপুরের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি সহ কয়েক হাজার কর্মী। এছারাও রানাঘাট শহরের তৃনমূল যুব নেতা বিস্বজিত বিশ্বাস দলবল নিয়ে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা গ্রহন করেন। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৭ দিনের মধ্যে আনুলিয়া ও হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যা বিজেপিতে যোগ দেবেন। এবং এই ২ টি পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনতে চলেছে বিজেপি। সেই সাথে আগামী সপ্তাহে রানাঘাট ১ ব্লকের ৩ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে