কার পেছনে কত বাম্বুবাগান চলে যাবে, তা বুঝতেও পারবেন না : মমতা

113

আগে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হতো। এখন সময় দেওয়া হয় না। সকাল ১১টায় কোনো বিল আলোচনা হওয়ার কথা থাকলে বিল পাঠানো হচ্ছে আগের দিন রাত ১২টায়। তাই সাংসদে বিল পেশ হবার আগে বিরোধীদের বিলটি খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ দিচ্ছে না বিজেপি সরকার । আর আপনি যদি থরোলি (খুঁটিয়ে) না পড়েন, কখন যে কার পেছনে কত বাম্বুবাগান চলে যাবে, সেটা কেউ বুঝতেও পারবেন না। গতকাল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কর্মীসভায় এমটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, ‘পার্লামেন্টে এখন সেকেন্ডে সেকেন্ডে বিল আসে। আগে তাও ৭২ ঘণ্টা টাইম দিত। এখন টাইম দেয় না। রাত ১২টায় বিল পাঠাচ্ছে, সকাল ১১টায় আলোচনা হবে। তার মধ্যে যে কী ঢুকিয়ে দিচ্ছে, সে তো ভগবান জানে! আর মেজরিটি (সংখ্যাগরিষ্ঠতা) আছে বলে এমন এমন কথা ঢোকাচ্ছে, আপনি যদি থরোলি (খুঁটিয়ে) না পড়েন, কখন যে কার পেছনে কত বাম্বুবাগান চলে যাবে, সেটা কেউ বুঝতেও পারবেন না। কাজেই জায়গাটা খুব সিরিয়াস।’

পাশাপাশি, কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল দলকে সতর্ক করে জানালেন, কে কোথায় কী করছে, সবই তাঁর জানা। ভালো কাজে প্রশংসা যেমন মিলবে, তেমনি খারাপ কাজ করলে শাসনও সহ্য করতে হবে। এছাড়াও কর্মীদের তিনি বলেন, ‘আপনারা ভাষণ নোট করেন তো? এই ভাষণ সিডি করে ব্লকে ব্লকে শোনাবেন। কর্মীদের ট্রেনিং হয়ে যাবে। তারপর তাঁরা এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি), সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) নিয়ে মানুষকে বোঝাবেন।’