অঞ্জু ঘোষ কি বাংলাদেশী? কি উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ?

373

অঞ্জু ঘোষ, আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ। তিনি ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় দেশের মোট ৬টি ভাষার ওপর ৩০০টিরও বেশি চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি চট্টগ্রামের মঞ্চে বাণিজ্যিক নাটকের অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এবার রাজনীতির মাঠে পথচলা শুরু করলেন। গত বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগদান করেন।

এদিকে বিজেপিতে যোগদানের পরে তার নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তার জন্ম তারিখ নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। কেননা তার দুইটি পৃথক জন্মতারিখ পাওয়া গেছে। কলকাতা পুরনিগমের জন্ম রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, আধার কার্ড আর ভারতীয় পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬। কিন্তু আয়কর দপ্তরের পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নাম্বারে জন্ম তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৭ উল্লেখ করা আছে।

শ্রীমতি অঞ্জু ঘোষের বিজেপিতে যোগদানে বহু মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। তাদের সন্দেহ অঞ্জু ঘোষ ভারতের নাগরিক কি না? তার “জন্ম প্রমাণ পত্র” ই তার নাগরিকত্বের প্রমাণ।

Posted by Dilip Ghosh on Wednesday, June 5, 2019

 

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অঞ্জু ঘোষ ভারতের নাগরিক, তার কাছে ভারতের পাসপোর্ট আছে। বিজেপির দাবি, অঞ্জু বাংলাদেশি নন বরং ভারতের নাগরিক। দলটির দাবি অনুযায়ী, অঞ্জু ঘোষের জন্ম হয়েছে কলকাতায়। বৃহস্পতিবার তাদের দাবি স্বপক্ষে প্রমাণও তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। এসময় কলকাতা পৌরসভা করপোরেশনের ইস্যু করা অঞ্জুর জন্মসনদ উপস্থাপন করেন। জন্মসনদ উপস্থাপন করে জয়প্রকাশ বলেন, অঞ্জু ভারতীয় নাগরিক। তবে তিনি বাংলাদেশি ও ভারতীয় সিনেমা কাজ করেছেন। এর আগে অঞ্জু বিজেপিতে যোগ দেয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়। অঞ্জুর বিজেপিতে যোগ দেয়া নিয়ে কলকাতার মেয়র ও তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি যাকে খুশি তাকে তাদের দলে নিচ্ছে। তাদের উচিত ছিল আগে নিশ্চিত হওয়া যে, যাকে দলে নেয়া হচ্ছে তিনি ভারতীয় নাগরিক কিনা।

ফিরহাদের এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর কলকাতা পৌরসভা করপোরেশনের ইস্যু করা অঞ্জুর জন্মসনদ উপস্থাপন করেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, মেয়র নিজেই জানেন না যে তার কলকাতা পৌরসভা করপোরেশনই ওই জন্মসনদ ইস্যু করেছে। এসময় তিনি অঞ্জুর ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ডও দেখান। সেখানে অঞ্জুর স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে সল্ট লেকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত লোকসভা নির্বাচনের সময় বাংলাদেশি দুজন অভিনেতাকে দিয়ে প্রচার চালায় তৃণমূল। ওইসময় এটি তীব্র প্রতিবাদ করে তা সরব হয়ে উঠেছিল বিজেপি। তাই এবার পাল্টা ঢিল ছুড়ল তৃনমূলও, মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।