আগুন যেন পিছুই ছাড়ছে না এই সরকারের!

101

হাওড়ার জগন্নাথ ঘাটে শতাব্দী প্রাচীন একটি গোডাউনে গতকাল রাত থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড লক্ষ্য করা যায়। মূলত, প্রত্যদর্শীদের বক্তব্য রাত তিনটে নাগাদ শতাব্দী প্রাচীন ওই গোডাউনটিতে আগুন লাগে। তবে রাতে গোডাউনে কেউ ছিল না। ফোম, রংয়ের মতো নানারকম দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই আগুন তীব্র হয়ে ওঠে। ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে এখনও ২৪ ঘণ্টা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে, তবে এখনও আগুন জ্বলছে বলে খবর। এদিকে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, দমকলের ডিজি-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ কীভাবে রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা চলছে। ওই গুদামে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।

এদিকে, আগুন লাগার ব্যাপার নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ বলেছে, এত বড় এবং পুরোন একটা কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি ছিল না তা এতদিনে খোঁজ নেবার দরকার কিংবা মনিটারিং করবার দরকার ছিল দমকল দফতরের। কারন বিপদ সময় বুঝে কখনই আসে না ।

 

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে পার্ক সার্কাসে রাইফেল রেঞ্জ রোডে রেললাইনের ধারে প্লাইউড-বাঁশের দোকানে বিধ্বংসী আগুন লাগে।দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর গত ২৬ এপ্রিল এক্সাইড মোড়ের কাছে এক বহুতলের চারতলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তারপর, ১৯ জানুয়ারি গড়িয়াহাট মোড়ে অবস্থিত একটি বহুতলে আগুন। বহুতলটিতে একটি জনপ্রিয় পোশাকের বিপণি প্রতিষ্ঠান সহ বেশকিছু দোকান, রেস্তরাঁ ও আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বহুতলের নীচের তলায় থাকা একটি শাড়ির দোকান সহ অসংখ্য ফ্ল্যাট। আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। তবে এরচেয়েও ভয়ংকর আগুন দেখেছিল কলকাতা গত বছর, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, বাগরি মার্কেটে। দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল । এবং এই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিতও হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জিও ।