চাকরিপ্রাথীদের জন্য সুখবর! শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

70

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসবার পর শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রীর আসনে বসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তৃনমূলের তৃতীয় সরকার গঠনের পর ফের বাংলার শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ব্রাত্য বসু। এবং শপথ নেবার মাসখানেকের মধ্যেই প্রাথমিক ও এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সুখবর দিলেন তিনি। এদিন নবান্ন থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, প্রত্যেক বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রাথমিকের টেট নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে হবে শিক্ষক নিয়োগ। এবং রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখব আমরা।

প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিক এর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। তার জেরে ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন ইন্টারভিউ নেওয়ার বিষয় নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। শুক্রবার এর কলকাতার হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শিক্ষা মন্ত্রী বলেন আদালতকে ধন্যবাদ জানাবো। আজকেই স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্রেস কনফারেন্স করবে। কী ভাবে ওরা ইন্টারভিউ নেবে সেই বিষয়ে বিশদে জানিয়ে দেবে। পাসাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, অস্বচ্ছতার অভিযোগগুলো উঠেছে এগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পলিটিক্যাল জায়গা থেকে বেশি মামলা হয়েছে। যাতে গতি শ্লথ করে দেওয়া হয়। এইগুলো ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে। আমরা সেই স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ করব।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। একাধিকবার আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। শুধু তাই নয় উচ্চ প্রাথমিক এর ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ নিয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। যেমন, ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষা হয়েছিল, যার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর। এবং ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয় ও ৪ অক্টোবর নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা। এরপরেই নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল।