‘অনাথ আশ্রম’ এবার ‘অনাথ’ হবার আশঙ্কায়! সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক…

প্রায় ২০ বছর ধরে নিজের রোজগারের টাকায় সামজিক কাজ করে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমুন্ডি ব্লকের বাগডুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দত্ত। মূলত, ১৯৯৭ সালে চাকরি পাবার একবছরের মধ্যেই স্কুল সংলগ্ন একটি এলাকায় গবির ছাত্রদের জন্য নিজের রোজগারের টাকায় একটি হস্টেল নির্মাণ করেন। সেখানে বর্তমানে নিখরচায় ৩০ জন গরিব ছাত্রদের রেখে তাদের খাওয়া-দাওয়া এবং পড়াশুনো তিনি চালান। সাথেই বর্তমানে গ্রামের ১০০ জন ছাত্রছাত্রীকে বিনেপয়সায় প্রাইভেট টিউশনের ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন। এরই সাথে ছাত্রছাত্রী ও গ্রামবাসীদের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিখে এখন ডাক্তারিও করছেন। আর মানুষের জন্য এতসব কাজ করেও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোন সরকারি সাহায্য জোটেনি।

কিন্তু কিসের স্বার্থে তিনি এই সামাজিক কাজ করেছেন? এবিষয়ে রঞ্জিত বাবুকে প্রশ্ন করলে তিন জানান, গ্রামে শিক্ষকতা করতে গিয়ে মনে হয়েছিল গরিব ছাত্রদের জন্য কিছু একটা করা দরকার। তাই একজনের দানের জমিতে হস্টেল গড়ে প্রথমে একজন ছাত্রকে রেখেছিলাম। বর্তমানে তার সংখ্যা বেড়ে ৩০ জন হয়েছে। তাদের বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। তারা বিভিন্ন স্কুলে পড়াশুনো করে। সাথেই প্রথমে ২০০ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রাইভেট টিউশনের ব্যবস্থা করে দিলেও, বর্তমানে তা সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ জন। কারন বিনেপয়সায় কেউই পড়াতে চান না । তিনি আরও জানান, আমি এখন বর্তমানে ১৩ হাজার টাকা পেনশন পাই। কিন্তু হস্টেল চালানোর জন্য মাসে আরও ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকার দরকার। তাহলেই হস্টেল চালানোর জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে হয়না। এবং বর্তমানে আমার দুটো জমি রয়েছে সেখান থেকেই চাল উৎপাদন করে কিছুটা সংসারের জন্য রেখে বাকিটা ছাত্রছাত্রীদের জন্য রেখে দেই। কিন্তু তাতেও হয়ে ওঠেনা। কেউ কেউ এসে মাঝেমধ্যে ৫ কেজি চাল দিয়ে যায়। তাই সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ একটু যাতে আমাদের দিকে চেয়ে দেখেন।

কেউ যদি রঞ্জিত বাবুকে সাহায্য করতে চান, ফোন করুন এই নম্বরে 

Ranjit Kumar Dutta
+917866928989