দিদিকে ভোটের মার্জিন বলে না দেওয়া কারনেই অবশেষে আজ পদ হারালেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ!

88

বদলা নয় বদল চাই, এই শ্লোগান নিয়েই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে উত্তরবঙ্গের কতটা পরিবর্তন হয়েছে তা তো দেখতেই পেয়েছে উত্তরবঙ্গবাসী। কিন্তু এই লোকসভা নির্বাচনে যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পরিবর্তন হয়েছে তা প্রথম দফা ভোটের দিনই টের পেয়েছিল রাজনৈতিক মহল। অর্থাৎ তাঁরা জানিয়েছিলেন, যেই রবী ঘোষ অতীত ভোটের দিন দিদিকে ফোন করে ভোটের মার্জিন জানিয়ে দিতেন, সেই রবীই সেদিন দিদিকে অভয় দিতে পারেনি । উল্টে দিদির কাছে এই ভাই অভিযোগ করে বলেছিলেন, দিদি, বর্ডার এলাকায় বিএসএফ ডিসটার্ব করছে ।

আরও পড়ুনঃ এবার ডানা ছাটা হল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর, তাঁর জায়গায় এলেন এই হেভিওয়েট নেতা

আর এই প্রাপ্যটা সেদিন তিনি না পেলেও আজ পেলেন দিদির কাছে, অর্থাৎ কোচবিহার জেলার সভাপতি পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে দিলেন দিদি । তাঁর জায়গায় সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন পার্থ প্রতিম রায়। মূলত, সদ্য নির্বাচনে কোচবিহারের পরাজয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। ঘাসফুলের হাত থেকে কোচবিহার ছিনিয়ে নিয়েছে পদ্মশিবির। ভোটের দিন মধ্যাহ্নভোজ সারতে সারতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছিলেন, ‘মেশিনারি কাজ করেছে। আর চিন্তার কিছু নেই।’ কিন্তু ফল বেরতেই দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই বলে হেলিকপ্টার শট মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তারপরই, কোচবিহারে তৃণমূলের হারের ময়নাতদন্তে বসে নেতৃত্ব। সেই ময়নাতদন্তে কোচবিহারে তৃণমূলের হারের কারণ হিসেবে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ব্যর্থতা। দেখা যায়, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার মধ্যে ৫টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্রেও খুব খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। তাই আজ সেই মাশুল গুনতে হিল তার ।