এত কাজ করে মমতা ক্লান্ত! বললেন, ‘আপনাদের জন্য অনেক করেছি’

111

একুশের নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতির নজরে ছিল নন্দীগ্রামের ভোট। গতকালই তা সমাপ্তি ঘটেছে। এবার কোচবিহারের দিনহাটা থেকে উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু করলেন মমতা। সভা শুরুতেই থেকে মমতা জানান, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষকে অভিনন্দন। নন্দীগ্রামে ভোট দেখে বলতে পারি আপনারা জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকুন। দু’দফায় ৬০টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টিতে আমিই জিতছি।

এদিকে বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ওরা কোটি কোটি টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাউকে দেয় না। কেউ মরে গেলে, কারও দরকার হলে দেয় না, ওই টাকা ভোটের সময় খরচ করে। ভোট পাওয়ার জন্য, লোক কেনার জন্য খরচ করে। তাই আগে বিনা পয়সায় গ্যাস দে তারপর ক্যাশ দিবি। পাশাপাশি দলীয় নেতাদের ডেকে মমতা জানান, দুর্বল ছেলে মেয়ে চাই না। মনে রাখবেন আমি মরে যাইনি। আমি চুরি পরে ঘরে বসে নেই। দুর্বলদের নিয়ে আমি কাজ করি না। আমি চাই এমন ছেলে মেয়ে যারা বিজেপির, টাকার জোর, গায়ের জোরের সঙ্গে প্রতিবাদ করবে। যদি আগের দিন ওরা তাণ্ডব করে তোমরাও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াবে। দেখি কত সিআরপিএফ, বিএসএফ কেন্দ্রীয় বাহিনী তোমাদের গ্রেফতার করে। তবে আমি সিআরপিএফ, বিএসএফকে সম্মান করি। কিন্তু ওরা তাণ্ডব করেছে। ওদের আমার অনুরোধ বিজেপির কথায় অত্যাচার করা বন্ধ করুন। নন্দীগ্রামে আমার নেতাদের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব করেছে। মনে রাখবেন, ওরা যদি তাণ্ডব করবেন। তা হলে আপনারাও জবাব দেবেন প্রতিবাদ করবেন। মারধর নয়। উলুধ্বনি দিয়ে প্রতিবাদ করবেন। আজান দিয়ে প্রতিবাদ করবেন।

মমতা আরও জানান, আপনাদের জন্য অনেক করেছি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার, বিনাপয়সায় রেশন, বিনামূল্যে চিকিৎসা, তফশিলী বন্ধুদের পেনশন, বিধবাদের ভাতা। তারজন্য তৃণমূলের প্রার্থীদের জেতাতে হবে। আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পঞ্চানন বর্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয়, জিতেন্দ্র নারায়ণের নামে মেডিক্যাল কলেজ, নতুন এয়ারপোর্ট, ছিট মহল, জয়ী সেতু। সব করে দিয়েছি। কোনটা করিনি বলুন। এমনকি আপনাদের দাবি ছিল একটা নারায়ণি সেনা তৈরি করার, সেটাও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ থেকে তৈরি করে দিয়েছি। আপনাদের সম্মানের জন্য। যার সদর দফতর কোচবিহারে।